প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, বাংলাদেশ অসম্ভব গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে দিন দিন মাথাপিচু আয় বাড়ছে। দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের উদাহরন দিয়ে তিনি বলেন, গত মাসের হিসেব অনুযায়ী মানুষের মাথাপিচু আয় বেড়ে হয়েছে ১৮১০ ডলার। এজন্য দেশের কল্যাণে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) এসব তথ্যসহ সব শুমারির তথ্য প্রতিনিয়ত আপডেট করতে হবে। বুধবার বিবিএস অডিটরিয়ামে এসডিজি ট্র্যাকার বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এটুআই ও বিবিএস যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালা আয়োজন করে। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রধান সুদীপ্ত মুখার্জ্জী, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন ও এটুআই প্রকল্পের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।আবুল কালাম আজাদ বলেন, সঠিক ও আপডেট ডাটা দিতে পারলে সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও দেশের জনগণের উন্নয়ন সম্ভব। এজন্য আপডেট ডাটা দিয়ে সব মন্ত্রণালয়কে সহযোগিতা করতে হবে। তাহলে উন্নয়নের গতি ঠিক রেখে ২০৪১ সালের অনেক আগেই আমরা উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাতে পারবো। কর্মশালায় জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর ১০টি উদ্যোগ সফলভবে বাস্তবায়ন করা গেলে এসডিজির অনেক কিছুই অর্জন করা সম্ভব হবে। আমাদের দেশের আয় বৈষম্য কমাতে হবে। জাতিসংঘ ঘোষিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অগ্রদূত হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং বাংলাদেশের এই অর্জন সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। এমডিজির মতো এসডিজি অর্জনেও বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এছাড়া টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) ট্র্যাকারের মাধ্যমে এই অভীষ্ট অর্জনের অগ্রগতি তদারকি করা হবে। তথ্য-উপাত্ত পারিসংখ্যানগতভাবে দৃশ্যমান করতে এবং সে অনুযায়ী সীমিত সম্পদের দক্ষ বণ্টন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচি এই ট্র্যাকার তৈরি করেছে। এটুআই, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) যৌথভাবে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে নিয়ে এসডিজি বাস্তবায়ন ও এসডিজি ট্র্যাকারের ব্যবহার নিশ্চিত করছে।