চাইলেই একজন কোনো বিষয়ের উপর ভিডিও করতে পারেন। তবে ভিডিওর বিষয়বস্তুর সঙ্গে কতটুকু ভিডিওতে রাখা যাবে আর কি রাখা যাবে না সেই বিষয়টি দেখেন একজন ভিডিও সম্পাদক। ভিডিও করার পর ক্যামেরার পিছনে থেকে বাকি কাজটা করাও একটি বড় শিল্প। আর ক্যামেরার পিছনের অন্যতম প্রধান কাজ ভিডিও সম্পাদনা। যেই কাজে প্রয়োজন হয় ধৈর্য, জ্ঞান, সৃজনশীলতা ও ভালোবাসা। যাদের পরিশ্রমে ভিডিও হয়ে ওঠে নান্দনিক। কথা হয় ভিডিও সম্পাদক এম এ রশিদের সঙ্গে। তিনি বর্তমানে দুরন্ত টেলিভিশনে কর্মরত আছেন। তিনি বলেন, ভিডিও সম্পাদক হবার জন্য দেশি-বিদেশি সিনেমা, নাটক এবং বিভিন্ন টেলিভিশন দেখতে হবে। থাকতে হবে আধুনিক প্রযুক্তি সম্বন্ধে ধারণা। কাজের প্রতি ভালোবাসা, ধৈর্য থাকাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। হাজারো ভুল সংশোধনের উদ্যমী এবং পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার অধিকারী হবে। ভিডিও সম্পাদন করে একজন শিক্ষানবিশ ভিডিও সম্পাদক ১৮-২০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। পরবর্তীতে ৭০-৮০ হাজার থেকে ১-২ লাখ টাকার অধিক আয় করা সম্ভব। এমএ রশিদ নতুন যারা এই পেশায় আসতে চান তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, বর্তমানে সময়ে কারিগরি শিক্ষার আধুনিকতার সম্ভাবনাময় পেশা ভিডিও সম্পাদনা। বাংলাদেশে টিভি চ্যানেল, ইউটিউব চ্যানেলের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে বর্তমান সময়ে ভিডিও সম্পাদকদের প্রসার ও প্রচার ঘটছে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে। প্রতিটি টিভি-চ্যানেল এ মোটামুটি ২০ থেকে ৩০ জন ভিডিও সম্পাদক রয়েছেন। এ থেকে অর্জন করা সম্ভব খ্যাতি। আর আছে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। এমএ রশিদ ছোট-বড় অনেক কাজই করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস অভিনীত শাফি উদ্দিন শাফির পরিচালনায় ‘ভালোবাসা এক্সপ্রেস’র অনলাইন সম্পাদনা। আদিবাসী মিজানের পরিচালনায় মোশাররফ করিম অভিনীত- হাদবদল, আসিতেছে তারা খান, চিত্র নায়ক আমিন খান অভিনীত- চোখসহ আরো অনেক।