জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ ছবিতে সিঁথি চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করে দর্শকদের মুগ্ধ করেছিলেন পূর্ণিমা। আর সে সূত্রে অল্প বয়সে রুপালি পর্দায় নায়িকা হিসেবে ঝলমলে এক অভিষেক হয়েছিল তার। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া তার এ প্রথম ছবিতে পূর্ণিমা নায়ক হিসেবে পান রিয়াজকে। এরপর ‘নিশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’, ‘মেঘলা আকাশ’, ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, টাকা’, ‘সুভা’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘আকাশছোঁয়া ভালোবাসা’সহ অনেক সিনেমায় অভিনয় করে পেয়েছেন দর্শকপ্রিয়তা। ২০১০ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিল না’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। মাঝে কিছু সময় চলচ্চিত্র থেকে দূরে থাকলেও পূর্ণিমা এখন আবারো নিয়মিত কাজে। বর্তমানে নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূলের ‘জ্যাম’ ও ‘গাঙচিল’ নামে দুটি ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি। এবারের কোরবানির ঈদে মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘সাবলেট’ নাটকে অভিনয় করেন তিনি। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন অপূর্ব। পূর্ণিমা বলেন, ঈদের পঞ্চমদিন বাংলাভিশনে ‘সাবলেট’ নাটকটি প্রচারের পর বেশ সাড়া পেয়েছি। এবারের ঈদে এই একটি কাজই করা হয়েছিল আমার। নাটকের ভাবনাটা অন্যরকম, গল্পটিও বেশ সুন্দর ছিল। এদিকে পূর্ণিমা গতকাল থেকে আরেকটি বিষয় নিয়ে বেশ আনন্দিত। তা হচ্ছে খুব অল্প সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে তার ফলোয়ারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখের বেশি। তিনি বলেন, অনেক তারকার চেয়ে আমার ফলোয়ার সংখ্যা কম। তারপরও এতে আমি খুশি। কারণ অল্প সময়ে ইনস্টাগ্রামে আমার ফলোয়ার সংখ্যা বেড়েছে। ছবি, ভিডিও শেয়ারের জনপ্রিয় এ মাধ্যমটিতে আমি এখন নিয়মিত। আমাকে যারা অনুসরণ করছেন, তাদের সবাইকে এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। সত্যিই এটি আমার জন্য বিশাল পাওয়া। অভিনয়ের পাশাপাশি আরটিভিতে প্রচারিত পূর্ণিমার উপস্থাপনায় ‘এবং পূর্ণিমা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি দর্শকরা বেশ পছন্দ করেছিলেন। এদিকে প্রয়াত জনপ্রিয় নায়ক মান্নার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কৃতাঞ্জলী কথাচিত্রের ব্যানারে নির্মাণ হচ্ছে ‘জ্যাম’ ছবিটি। এ ছবির বেশকিছু অংশের কাজ শেষ হয়েছে। ছবিটিতে পূর্ণিমার বিপরীতে অভিনয় করছেন আরিফিন শুভ। এরইমধ্যে নেয়ামূলের পরিচালনায় ‘গাঙচিল’ ছবির কাজ আবার শুরু করতে যাচ্ছেন পূর্ণিমা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাঝে দুই ধাপ কাজের পর এর কাজ চলতি মাসের শেষদিকে নোয়াখালীতে শুরু হতে যাচ্ছে। ছবিটিতে আমার বিপরীতে ফেরদৌস অভিনয় করছেন। নোয়াখালীর সুবর্ণচরের বাসিন্দাদের জীবনের নানা ঘটনা এ ছবির প্রধান উপজীব্য। এই অঞ্চলে এনজিওকর্মী হিসেবে দর্শকরা আমাকে দেখতে পাবেন। আর ফেরদৌস সাংবাদিক চরিত্রে অভিনয় করবেন। এ ছবিতে শুটিং করার সময় বাইক চালানোর দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন। এবার কি আবার বাইক চালানোর দৃশ্য আছে? জবাবে পূর্ণিমা বলেন, এবার আর বাইক চালাতে চাই না। আমার দৃশ্যগুলো ডামি শটে নেবেন পরিচালক। গতবারের অভিজ্ঞতাটা সত্যিই অনেক খারাপ ছিল। এবার ভালোভাবে কাজটি শেষ করতে চাই। এ ছবির কাজ শেষে ‘জ্যাম’ এর কাজ শুরু করতে চান পূর্ণিমা। তিনি বলেন, দুটি ছবির পরিচালক একজনই। তাই শিডিউল মিলিয়ে ‘গাঙচিল’ ও ‘জ্যাম’ ছবির কাজ টানা করবো। আর টিভি নাটকে আবার কবে দেখা যাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সামনে শীতে আবার কিছু টিভি নাটকে কাজ করার ইচ্ছে আছে। আপাতত দুটি ছবির অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করতে চাই।