হাসিখুশি আর দুরন্তপনায় যখন মাতিয়ে তোলার কথা বন্ধু-বান্ধবদের তখন কাতরাচ্ছে হাসপাতালের বেডে। বয়স আর কতই হবে- এই বারো-তেরো। স্কুলের সহপাঠীদের নিয়ে গোল্লাছুট, দাঁড়িয়াবান্ধা আর কানামাছি খেলায় মেতে থাকার কথা। কিন্তু এই বয়সেই থমকে গেছে দুরন্ত সেই কিশোরীর জীবন। আটকে আছে চার দেয়ালের ভেতর। হাসপাতালের বিছানায়। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মহাসহস্র গ্রামের কৃষক সৈয়দ আলম হোসেনের মেয়ে সৈয়দা সানজানা আক্তার। লেখাপড়ায় মেধাবী এই কিশোরী রাজনগর আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। বিদ্যালয়ের প্রিয়মুখ। সহপাঠী, শিক্ষক-শিক্ষিকা সবার অনেক ভালোবাসার, আদরের, স্নেহের। কিন্তু এদের সবার মায়া-মমতাকে দূরে ঠেলে সানজানা এখন চিকিৎসা নিচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই তার দিন কাটছে। গত পাঁচ-ছয় মাস ধরে দুরারোগ্য ব্যাধি লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত সানজানা। প্রথমদিকে সানজানা ঘন ঘন জ্বরে আক্রান্ত হলেও বাড়ির কেউই টের পাননি সে এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। সমপ্রতি তার এই রোগ ধরা পড়ে। তারপর থেকেই সানজানা ও তার পরিবার তাকে সুস্থ করে তোলার জন্য চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হয়েছে। গত কিছুদিন ধরে সানজানা বিএসএমএমইউয়ের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছে।চিকিৎসকরা জানিয়েছেন- অনেক টাকা লাগবে। কিন্তু এত টাকা পাবে কোথায় কৃষক আলম। তা নিয়েই পরিবারের সবাই দুশ্চিন্তায়। কিন্তু তারা মেয়েকে সুস্থ করে তুলতে চান। তার সেই দুরন্তপনার কৈশোরে নিয়ে যেতে চান। সহপাঠীদের সঙ্গে স্কুল মাতিয়ে রাখবে আগের মতোই- এমন দৃশ্য দেখতে চান। এ অবস্থায় সানজানার পরিবার সমাজের হৃদয়বান বিত্তশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন। সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিরা যদি একটু নজর দেন সানজানার দিকে তাহলে হয়তো অর্থের অভাবে চিকিৎসাবঞ্চিত হবে না ছোট্ট এই কিশোরী। পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে কেউ যদি সাহায্য করতে চান তাহলে নিম্নে দেয়া ব্যাংক হিসাব কিংবা বিকাশ ও রকেট নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। সৈয়দা ফাহমিদা বেগম (সানজানার বোন), হিসাব নং- ৩৮৯২১০১০৩৪৮০৪, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, টেংরাবাজার শাখা, রাজনগর, মৌলভীবাজার অথবা বিকাশ- ০১৭২২-৯৯০০৪৪, রকেট-০১৭৬৩-৪৭৯৬৮০।