নুসরাত হত্যা: অর্থের লেনদেন তদন্তে সিআইডি

মানবজমিন প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

চাঞ্চল্যকর নুসরাত জাহান রাফি হত্যা ঘটনায় তদন্তে নেমেছে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)। হত্যাকাণ্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে শুরু থেকেই মোটা অঙ্কের অর্থের লেনদেন হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। হত্যাকাণ্ডটি ধামাচাপা দিতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা, স্থানীয় কয়েক সাংবাদিক ও পুলিশের মধ্যে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সিআইডি সূত্র জানায়, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। আজ-কালের মধ্যেই সিআইডি’র একটি টিম ফেনীর সোনাগাজী গিয়ে তদন্ত করবে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে সংশ্লিষ্টদের। সেইসঙ্গে তাদের ব্যাংক একাউন্ট সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। প্রাথমিক কিছু তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের পর সোনাগাজী থানায় মানি লন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করা হবে জড়িতদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে সিআইডি’র সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শারমিন জাহান মানবজমিনকে জানান, নুসরাত হত্যকাণ্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে জড়িতদের রক্ষা করতে অর্থের ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অর্থের উৎস, অর্থদাতা সম্পর্কে তদন্ত শুরু হয়েছে। সূত্রমতে, হত্যাকাণ্ডের আগে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতকে শ্লীলতাহানি করেন মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা। এ বিষয়ে সোনাগাজী থানায় গিয়ে অভিযোগ করেছিলেন নুসরাত। কিন্তু ওই সময়ে রহস্যময় ভূমিকা পালন করেন তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। এমনকি নুসরাতের বক্তব্যের ভিডিও চিত্র ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। পরবর্তীতে নুসরাত হত্যার পর ওসি মোয়াজ্জেমসহ একটি পক্ষ এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিয়ে যেতে সক্রিয় হয়ে উঠেন বলে অভিযোগ উঠে। তারা প্রচার করেন নুসরাত আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার বিষয়টি প্রচারের জন্য স্থানীয় কয়েক সাংবাদিককে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করা হয়। এমনকি এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে সিরাজকে রক্ষা করতে মরিয়া হয়ে উঠে ওই পক্ষ। এজাহার থেকে অধ্যক্ষ সিরাজকে রক্ষা করতে চেষ্টা করেন ওসি নিজেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঢাকা থেকে যাওয়া সাংবাদিকদের ভূমিকার কারণে আসল ঘটনা প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজ গ্রেপ্তার হওয়ার পরদিন ব্যাংক থেকে ১৮ লাখ টাকা তোলে সন্তানদের নিয়ে আত্মগোপনে যান তার স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার। হত্যাকাণ্ডের আগে কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারী নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীমকে নগদ অর্থ দিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েক নেতা। নুসরাত হত্যাকাণ্ডের পর জড়িতদের রক্ষা করতে চেষ্টা করেন সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন। তার আগে শ্লীলতাহানীর ঘটনায় প্রকাশ্যে অধ্যক্ষের পক্ষ নেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর মাকসুদ আলম। তিনি নুসরাত ও তার পরিবারকে মামলা তুলে নিতে চাপ ও হুমকি দেন। মাদরাসার অধ্যক্ষের পক্ষে মাকসুদ একটি মানববন্ধনের আয়োজনও করেন। এসব কিছুতেই ছিলো টাকার ছড়াছড়ি। মাদরাসার পুকুর, মার্কেটসহ বিভিন্ন খাত থেকে প্রাপ্ত টাকা ভাগাভাগি হতো অধ্যক্ষ সিরাজসহ একটি প্রভাবশালী চক্রের মধ্যে। অভিযোগ রয়েছে এই চক্রের হয়েই কাজ করতো থানা পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওসি ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েক নেতাসহ জড়িতদের অর্থের উৎস তদন্ত করলেই অনেক সত্য প্রকাশ পাবে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

নুসরাত হত্যা : ফাঁসির রায় কার্যকর চান স্বজনরা

জাগো নিউজ ২৪ | ফেনী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত
৪ বছর, ১ মাস আগে

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us