বিষণ্ণতা কেবল দুঃখবোধ করা বা খারাপ দিন কাটানোই নয়, এটি দুর্বল মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা যা বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করে। বিষণ্ণতায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা বিচ্ছিন্নতা এবং একাকী বোধ করতে পারে, তাদের চারপাশের অন্ধকার থেকে তাদের পথ খুঁজে পায় না। প্রিয়জন ঠিক কীসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে অন্যদের জন্য তা বোঝা কঠিন হতে পারে। আমাদের কথা এক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এ ধরনের ব্যক্তিদের সঙ্গে বুঝেশুনে কথা বলা উচিত।
হতাশাগ্রস্ত কাউকে সমর্থন করার জন্য ধৈর্য, সহানুভূতি এবং জাজমেন্ট ছাড়াই শোনার ইচ্ছা প্রয়োজন। আমাদের কথায় উন্নতি বা অনিচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতি করার ক্ষমতা আছে, তাই সাবধানতার সঙ্গে কথোপকথন অপরিহার্য। হতাশা একটি ভারী বোঝা, এটি একা বহন করা সম্ভব নয়। আপনার মায়ায় পূর্ণ ছোট ছোট কাজ, চিন্তাশীল শব্দ, এবং প্রকৃত বোঝাপড়া আক্রান্ত ব্যক্তির হতাশা কাটিয়ে তুলতে পারে। জেনে নিন, একজন হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তিকে কোন কথাগুলো বলবেন না-
এখান থেকে বের হয়ে আসো
বিষণ্ণতা সম্পর্কে সবচেয়ে সাধারণ ভুল ধারণাগুলোর মধ্যে একটি হলো যে, এটি এমন কিছু যেকান থেকে নিজে থেকে বেরিয়ে আসা যায়। আপনি যদি তাকে এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে বলেন, তার অর্থ দাঁড়ায় যে সে নিজেই এই সমস্যায় পড়ে আছে এবং চাইলেই বের হয়ে আসতে পারে। বিষণ্ণতা ইচ্ছা বা অলসতার বিষয় নয় - এটি একটি চিকিৎসা অবস্থা যা মস্তিষ্কের রসায়ন, চিন্তার ধরণ এবং মানসিক সুস্থতাকে প্রভাবিত করে।
তোমার কৃতজ্ঞ হওয়ার অনেক কিছু আছে
যদিও কৃতজ্ঞতা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে, তবে এই বিবৃতিটি হতাশাগ্রস্থ কাউকে আরও হতাশ করতে পারে। এটা বলার অর্থ হচ্ছে তাদেরকে অকৃতজ্ঞ বলা। তবে বিষয়টি এমন নয়। হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তিরা আপনার মতো স্বাভাবিক চিন্তা করতে পারে না। বিষণ্ণতা আক্রান্ত ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গিকে ঘোলাটে করে ফেলতে পারে, এমনকী তাদের আনন্দ অনুভব করাও কঠিন করে তোলে।