সরকারি পরিসংখ্যানে দারিদ্র্যের হার ক্রমাগত কমলেও নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মজুরি না বাড়ায় গত ২ বছরে ১ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ নতুন করে দরিদ্র বা দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে পড়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের একজন শিক্ষক, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ।
রোববার ঢাকায় বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) আয়োজিত এক কর্মশালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. দীন ইসলাম এই দাবি করেন।
কর্মশালায় খাদ্যনির্ভর সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পরামর্শ দেন বক্তারা।
দীন ইসলাম গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে বলেন, “এর মধ্যে (দুই বছরে) ৭৮ লাখ ৬০ হাজার মানুষ নতুন করে সহনীয় দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে এসেছে। একই সঙ্গে ৯৮ লাখ ৩০ হাজার মানুষ অতিমাত্রায় দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে পড়ে গেছেন।এ সময়ে নতুন করে ৩৮ লাখ মানুষ দরিদ্র থেকে হতদরিদ্রতে নেমে এসেছে।”
তবে এই গবেষণা করতে মাঠ পর্যায়ে কোনো জরিপ করা হয়নি, মূল্যস্ফীতি ও মজুরি বৃদ্ধির গড় হার বিবেচনায় এই হিসাব করা হয়েছে। গবেষণার এ প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দারিদ্র সীমা এবং অতি দারিদ্র সীমার ক্ষেত্রে ক্রয়ক্ষমতাকে বেছে নিয়েছে।
সরকারের দেওয়া বিবিএসের তথ্যেই মূল্যস্ফীতি এবং প্রকৃত মজুরির মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে তা বিশ্লেষণ করে গবেষকরা দেখেছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরেই ৬ শতাংশের বেশি মানুষ তাদের ক্রয় ক্ষমতা ‘হারিয়েছে’। এর ফলে তারা নতুন করে দরিদ্র হয়ে পড়েছে বা দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে পড়েছে।