দেশের যে কোনো দুর্যোগে সুনাম কুড়ানো ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। নেপথ্যে সংস্থাটির বেশ কিছু কর্মকর্তা ও স্থানীয় দালাল শ্রেণির আওয়ামী লীগ নেতা। বিষয়টি গড়িয়েছে মামলা, দুদকের গণশুনানি পর্যন্ত। সরকারিভাবে জমি অধিগ্রহণ না করায় উঠছে বিতর্ক। ‘ডুবুরি সেবা’ না ‘কর্মচারী কল্যাণ’র নামে জমি দখল করে কেনার চেষ্টা করা হচ্ছে সেটিও স্পষ্ট নয়।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, ‘ফায়ার সার্ভিসের জমি প্রয়োজন হলে অধিগ্রহণ করবে। কিন্তু তারা প্রশাসনের পাশাপাশি পেশিশক্তি দিয়ে আগে দখল করছে। পরে ‘দালাল’ দিয়ে কিনছে। এতে প্রকৃত মূল্য পাচ্ছে না ক্রেতা। আসছে না নিষ্কণ্টক জমিও। তাৎক্ষণিক সুবিধা পেতে অন্যের কাছে বিক্রিত জমিও দলিল করে দিয়েছে দালাল। এমনকি আট একর দখলে নিয়ে জোরপূর্বক উঁচু সীমানাপ্রাচীর দিয়েছে। অথচ ৩০ নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত কিনেছে মাত্র চার একর।
জোরপূর্বক সীমানাপ্রাচীর দেওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ভেতরে বসবাসকারীদের যাতায়াত। বিঘ্ন হচ্ছে চাষাবাদ। বৈধ মালিকদের বসতবাড়ি ছাড়তে ও চাষাবাদ বন্ধ করতে ফায়ার সার্ভিসের পোশাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, শারীরিক নির্যাতন ও গুম করারও ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয়রা বলছেন, আমাদের বাড়ির ওয়াশরুমেও যেতে দিচ্ছে না। রোপণ করা ধান তুলে ফেলছে। নাগরিক কোনো অধিকার দিচ্ছে না। জমি অধিগ্রহণ করে না, ন্যায্য দামে কেনেও না। আবার কোথাও বিক্রিও করতে দিচ্ছে না। খাজনাও দিতে পারছেন না।