নানান বদনাম-দুর্নাম, সমালোচনার মধ্যেও পুলিশকে শুদ্ধ করার মহাসুযোগটি দ্রুত চলে যাচ্ছে। যত দেরি তত গোল্ডেন চান্স বরবাদের শঙ্কা। পুলিশের ভেতর একটি গ্রুপ চায় যা হওয়ার হয়ে গেছে, ছাড় দিয়ে হলেও এখন পেশাদার হতে, মান-ইজ্জত ফিরে পেতে। অপেশাদারদের কথা আলাদা।
কিছু পুলিশ কর্মকর্তার ব্যক্তিগত লোভ, দলকানা কর্মকাণ্ড ও ইউনিফর্ম গায়ে জড়িয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর কারণে মানুষের মধ্যে সঞ্চিত ক্ষোভ কোনো মন্ত্রে হুট করে চলে যাবে তা আশা করলে চরম আশাহতের বেদনায় পড়তে হবে। পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে, ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু’ বিশেষায়িত এ বাক্য শুনলে মানুষ হাসত। সাধারণ মানুষের অনেকে পুলিশকে আর বন্ধু ভাবতে পারেন না। বাস্তব নানান ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এ অনুভূতি। মানুষের সেই জেদ-ঘৃণার শিকার হয়েছে গোটা পুলিশ বাহিনী। নিরপরাধ, পেশাদার ও সাধারণ পুলিশ সদস্যরা এতে ব্যথিত-ভারাক্রান্ত। সময় খারাপ দেখে তাদের চিহ্নিত বসদের অনেকে ভেগেছেন। সেই গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন পাকড়াও হয়েছেন। বিপদে পড়ে গেছেন অসহায় ও নিরপরাধ পুলিশ সদস্যরা। তারা চান পুলিশের এমন পরিণতির জন্য দায়ীদের কঠোর এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।