তিউনিসিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে নিন্দিত স্বৈরশাসক জাইন এল আবিদিন বেন আলি ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন গণ-অভ্যুত্থানে। প্রায় দুই যুগ দেশটির ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকার পর ২০১১ সালে ‘জেসমিন বিপ্লবের’ মধ্য দিয়ে পতন ঘটে তার সরকারের। বেন আলি এবং তার পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের বিরুদ্ধে তিউনিসিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ ছিল। পাচারকৃত এ অর্থ ফেরাতে উদ্যোগী হয় তিউনিসিয়ার বেন আলি-পরবর্তী সরকার। তবে অনেক পরিশ্রম ও বিপুল অর্থ ব্যয়ের পর এতে সাফল্য মিলেছে প্রত্যাশার তুলনায় সামান্য।
সুইস ব্যাংকগুলোয় বেন আলির পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে মামলা করেছিল তিউনিসিয়া। বেন আলির পাশাপাশি তার পরিবার, জামাতা ও অন্য সহযোগীদের নামেও মামলা হয়েছিল। সুইজারল্যান্ডের আদালতে দায়েরকৃত মামলায় তিউনিসিয়ার পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদনের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে ২০১২ সালে সেটি খারিজ হয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে তিউনিসিয়া সরকার সুইজারল্যান্ডে সে সময় চলমান মামলা ও ব্যাংকের নথি পর্যালোচনার সুযোগ পায়। একই সঙ্গে দেশটির পক্ষে সুইস ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক লেনদেনগুলো শনাক্ত করারও সুযোগ তৈরি হয়। এসব সুবিধা ও দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পরও ২০২১ সালে এসে তিউনিসিয়ার