মানব ইতিহাসে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব, রাষ্ট্র, সামরিক বাহিনী এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীর দ্বারা সংঘটিত গণহত্যার উদাহরণ কম নয়, বরং বলা ভালো যে অসংখ্য। তবে গাজায় যে গণহত্যা চলছে, তা আমাদের চোখের সামনে এবং অবাধ তথ্যপ্রবাহের গতির কারণে তার গুরুত্ব অন্যদের থেকে আলাদা। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ অবরুদ্ধ গাজায় যা ঘটছে তার লাইভ ও সেন্সরবিহীন দৃশ্য দেখতে পাচ্ছেন। ভুক্তভোগী ও আক্রমণকারী উভয়েই নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
আমরা তো ধ্বংস ও হত্যার দানবীয় যজ্ঞ প্রত্যক্ষ করছি। তো এখন এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে, ইসরায়েলি সমাজে এই ‘গণহত্যার সংস্কৃতি’র বিকাশ কীভাবে ঘটছে, তা-ও যেন একটু খতিয়ে দেখি। এর সাম্প্রতিকতম উদাহরণ লক্ষ করা গেছে গত বৃহস্পতিবার। ওই দিন ইসরায়েলি ফুটবল সমর্থকরা (হুলিগান), যারা মাকাবি তেল আবিব ক্লাবের সমর্থক তারা আমস্টারডামের ডাচ যুবকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তারা আরববিরোধী সেøাগান দেয়, ফিলিস্তিনি পতাকা ছিঁড়ে ফেলে এবং স্পেনের বন্যার শিকারদের জন্য নির্ধারিত এক মিনিট নীরবতা পালনের আহ্বানকে উপেক্ষা করে।