শীতল যুদ্ধের অভিজ্ঞতা থেকে জন্ম নেওয়া সহজাত প্রবৃত্তির কারণে জো বাইডেন ‘সংঘাতকে প্রশমিত’ করার কৌশলের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন। ২০২২ সালের মার্চ মাসে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের এক মাস পর, পোল্যান্ডের ওয়ারশে জো বাইডেন তাঁর বক্তৃতায় ভ্লাদিমির পুতিনের পায়ের রেখা কতদূর পর্যন্ত আসতে পারবে, তার একটা লাল রেখা এঁকে দিয়েছিলেন। বাইডেন সতর্ক করে দিয়েছিলেন, ‘ন্যাটোর এক ইঞ্চি ভূখণ্ডে পা বাড়ানোর চিন্তা কোরো না।’
বাইডেন অঙ্গীকার করেছিলেন, পশ্চিমা মিত্ররা ইউক্রেনকে অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা দেবে, মস্কোর ওপর অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা দেবে এবং রাশিয়ার মুদ্রা রুবলকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করবে। ইউক্রেন যদিও ন্যাটোর সদস্য নয়, তবু বাইডেন এ সংঘাতকে মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে চিত্রিত করেছিলেন। কিন্তু ন্যাটোকে প্রথম আক্রমণ না করার আগপর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে না পড়ার নীতিতে অটল থাকেন।