ধর্ষণের শিকার ৯ বছরের শিশুটি হাসপাতালে পৃথক শয্যা পেয়েছে, আমাদের কাছে এখন এটিই একটি স্বস্তির সংবাদ। কিন্তু মেয়েটির সামনের দিনগুলো কতটা দুঃসহভাবে কাটবে, সেটা কি আমাদের পক্ষে চিন্তা করা সম্ভব? মেয়েশিশুটি আজকে হাসপাতালে পৃথক শয্যা পেলেও এই সমাজে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকা ও বেড়ে ওঠা কতটা সম্ভব হবে ওর পক্ষে?
যে শারীরিক ও মানসিক ট্রমা নিয়ে সে বেড়ে উঠবে, তা হবে ভয়ংকর। সমাজে বুলির শিকার না হয়ে বেঁচে থাকার জন্য যে সাপোর্ট দরকার, সেটা নিশ্চিত করা খুব কঠিন হয়ে পড়বে মেয়েটির পরিবারের পক্ষে। দরিদ্র পরিবারের এই মেয়েটিকে বড় হতে হতে অন্তত হাজারবার শুনতে হবে, তাকে কিভাবে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে, সে কতটা পরিত্যক্ত ও কিভাবে একজন ঘৃণিত মানুষ। শিশুকালের এই ভয়াবহ ঘটনার জন্য সমাজ তাকেই দায়ী করবে, বড় হতে দেবে না, নিগৃহীত হওয়ার ঘটনা বারবার তাকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হবে এবং একসময় মেয়েটি পালাতে বাধ্য হবে।