আইনের যতই কড়াকড়ি থাক, কালীপুজো-দীপাবলির রাতে বাজির ধোঁয়ায় কলকাতার বাতাস দূষিত হয়ে ওঠে। তার সঙ্গে যানবাহনের ধোঁয়া তো রয়েছেই। ঘরের জানলা-দরজা সব সময়ে বন্ধ রাখা যায় না। তাই ঘরের ভিতরের বাতাসেও এই সময়ে ধূলিকণা, বিষাক্ত কণা মিশে থাকে। অ্যালার্জি বা হাঁপানির ধাত থাকলে, দূষিত বাতাসে শ্বাসকষ্ট আরও বাড়ে। বিশেষ করে সিওপিডি-র রোগীদের এই সময়ে কষ্ট বেশি। তাই ঘরের ভিতরের বাতাস পরিশুদ্ধ রাখতেই হবে। তার জন্য কী কী গ্যাজেট রাখতে পারেন তা জেনে নিন।
এয়ার পিউরিফায়ার
ঘরের আকৃতি এবং আয়তনের কথা মাথায় রেখেই এয়ার পিউরিফায়ার কিনুন। বাজারে অনেক রকম মডেল পাওয়া যায়। আপনার ঘর যদি ছোটও হয় তা হলেও একটু বড় এবং কমপ্যাক্ট মডেল কেনাই ভাল। অনেক বেশি শোধন ক্ষমতাযুক্ত পিউরিফায়ার কেনাই এই সময় যুক্তিযু্ক্ত। এই সময় বাতাসে শ্বাসযোগ্য ভাসমান কণার (পার্টিকুলেট ম্যাটার) পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেড়ে যায়। তাই পিউরিফায়ারের ফিল্টারের উপরে বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে। দেখতে হবে তা যেন ধুলো, ধোঁয়া, গন্ধ এবং অন্যান্য দূষণকারী পদার্থ থেকে রক্ষা করতে পারে।
হিউমিডিফায়ার
৩০০ থেকে ৪০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায় হিউমিডিফায়ার। ঘরের ভিতর আর্দ্রতার ভারসাম্য রক্ষা করে। ঘরের ভিতরের বাতাস বিশুদ্ধ করে। ঘরে হিউমিডিফায়ার রাখলে অক্সিজেনযুক্ত বাতাসের পরিমাণ বাড়ে।