নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক সময়ের আলোচিত নেত্রী ছিলেন তারা। শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, হলে সিট-বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাণিজ্য, সচিবালয়ে তদবির, নিয়োগ বাণিজ্য, ব্ল্যাকমেইলসহ কোনো কিছুতেই পিছিয়ে ছিলেন এসব নেত্রীরা। আলোচনায় থাকা সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় উপপরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সেলিনা আক্তার শেলী এখন কোথাই। যাকে বলা হতো কলেজের অঘোষিত শাসক।
তার কথায় যেন চলত ক্যাম্পাসের সব কিছু। কেউ কথা না শুনলেই নেমে আসত নির্যাতন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিল-মিটিংয়ে যেতে বাধ্য করা, কেউ যেতে না চাইলে নির্যাতন করা ছিল তার নিয়মিত কাজ।
ক্যান্টিনে খাবারের প্যাকেজের নির্ধারিত মূল্য ৮০০ টাকা থাকলেও শেলীর কথায় নেওয়া হতো এক হাজার টাকা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত ২০০ টাকা আত্মসাৎ করতেন তিনি। হলের সিট বাণিজ্যেও নেতৃত্ব দিতেন তিনি।