আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক ও তার স্ত্রী আরজুমান্দ বানু নার্গিসের সম্পদ ২০১৪ সালে ম্যাজিকের মতো বেড়ে যায়। নানকের তুলনায় তার স্ত্রীর সম্পদ বেশি পরিমাণে বেড়ে যায়। ২০০৮ সালে আরজুমান্দ বানুর সম্পদের পরিমাণ ছিল ২৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫৪ টাকা, যা ২০১৪ সালে বেড়ে ৪ কোটি ৭২ লাখ ৯৪ হাজার ১৭৯ টাকায় দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে, নানকের সম্পদ ছিল ১ কোটি ৪৫ লাখ ২১ হাজার ৪০২ টাকা।
নানক ও তার স্ত্রীর আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই দম্পত্তির দৃশ্যমান আয়ের সঙ্গে তাদের সম্পদ অর্জনের কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। সম্পদের এই বিশাল বৃদ্ধি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ইতোমধ্যে এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে।
এমপি হওয়ার পর ১৫ বছরে ৩০ গুণ সম্পদ বেড়েছে কবির নানকের। এটা অবশ্য কেবলই তার আয়করের হিসাবে। এর বাইরেও তার বিপুল সম্পদ থাকার তথ্য মিলেছে রাজধানী ঢাকা, বরিশাল ও কক্সবাজারে। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, কম করে হলেও শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য। যার বিরুদ্ধে এরইমধ্যে রাজধানী ঢাকা ও বরিশালে হত্যা ও হত্যা প্রচেষ্টার একাধিক মামলা হয়েছে। আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই পলাতক তিনি। যে কারণে নানাভাবে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি তার সঙ্গে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়েও নেওয়া যায়নি কোনো বক্তব্য।