ভয়েস অফ আমেরিকার এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া এক বক্তব্য নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন। এ বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকে সোচ্চার। এর মধ্যে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সাংবিধানিক গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাবাসসুম ঊর্মি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ।
কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’ এ নিয়ে চারদিকে হইচই পড়ে গেছে। অনেকেই তার সাহসী বক্তব্যের জন্য প্রশংসা করছেন, আবার অনেকেই তার এ বক্তব্যকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আখ্যা দিয়ে সমালোচনা করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে, সরকারি কর্মকর্তা হয়ে তাবাসসুম ঊর্মি প্রকাশ্যে এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারেন কিনা। এ বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করেছেন কিনা। ফলে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রথমে তাকে ওএসডি করে এবং বিভাগীয় তদন্তের স্বার্থে পরে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তাবাসসুম উর্মি বলেছেন, ‘যখন যেই গভর্নমেন্ট আসবে, দুই ধরনের কন্ট্রাডিক্টরি কথা বলবে, একজন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলবে, আরেকজন মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলবে, আমি হ্যাঁ হ্যাঁ করব, এটি হিপোক্রেসি। দুটি কন্ট্রাডিক্টরি মতে একমত পোষণ করা, এটি হিপোক্রেসি।’ নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি যদি দেখি মুক্তিযুদ্ধকে মুছে ফেলতে চায়, আমি তার বিপক্ষে কথা বলব। আমি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি হতে পারব না। তিনি আরও একটি কথা বলেছেন, ‘আমি যদি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে না-ও থাকতাম, আমি সেইম কথাটা বলতাম।’ তার এ বক্তব্য নিয়েও কিছু কথা বলার সুযোগ আছে, যা আমি পরে আলোচনা করব।