ইনসুলিনের প্রধান কাজগুলোর একটি হলো রক্তপ্রবাহ থেকে গ্লুকোজকে কোষে স্থানান্তর করা, যাতে এটি শক্তির জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। কিন্তু শরীর যখন ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বা প্রতিরোধী হয়ে ওঠে, অগ্ন্যাশয় তখন কোষগুলোকে আরও গ্লুকোজ গ্রহণ করতে বাধ্য করে। এই উচ্চমাত্রা শরীরে নানা সমস্যা তৈরি করে। ডায়াবেটিস, পিসিওসসহ নানা রোগ তৈরি হয় শরীরে। এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ঝুঁকির কিছু কারণ—
- অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা।
- কোমরের চারপাশে অতিরিক্ত চর্বি।
- শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকা।
- দীর্ঘ সময়ের জন্য বসে থাকা।
- বার্ধক্য।
- দীর্ঘ সময় মানসিক চাপের কারণে কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া।
- কিছু ওষুধ ও রোগ।
- কিছু এন্ডোক্রাইন রাসায়নিক ব্যাহতকারী পণ্য, যেমন বিপিএ, প্লাস্টিক ইত্যাদি।
- প্রদাহ।
- অর্পযাপ্ত ঘুম।
- জিনগত সমস্যা।
আশার কথা হলো, খাদ্য ও জীবনধারা পরিবর্তন ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধে প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারে।