সংখ্যার প্রতি আমার আগ্রহ এবং অনুরাগ সেই ছোটবেলা থেকেই। অঙ্ক আমি ভালোবাসতাম। সেই আসক্তি আর ভালোবাসা বাড়িয়ে দিলেন বাবার বন্ধু ও বরিশাল বিএম কলেজে বাবার সহকর্মী অঙ্কশাস্ত্রের অধ্যাপক, অঙ্কের জাদুকর সুখেন্দু সোম। আমার বয়স তখন ১০-১২ বছর হবে। আমাদের বাড়িতে এলেই সুখেন্দুবাবু অঙ্ক আর আমাকে নিয়ে পড়তেন। অঙ্কের নানান খেলা আর ধাঁধা শেখাতেন।
এই যেমন প্রমাণ করে দিতেন যে, ১ আর ২ সমান কিংবা ৯-এর নামতা দিয়ে দেখিয়ে দিতেন যে প্রতিটি সংখ্যার গুণের ফলাফল যোগ করলে ৯ই হবে। এই যেমন ৯×৪ = ৩৬। ৩ আর ৬ যোগ করলে ৯ হয়। কিংবা ৯×৮ = ৭২। ৭ আর ২ যোগ করলে ৯ হয়। আমি হতবাক হয়ে যেতাম দশমবর্ষীয় একটি বালকের জন্য এ এক বিস্ময়! কবুল করি, বহু বছর বাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাকালে ওইসব ধাঁধা দেখিয়ে আমার শিক্ষার্থীদের আমি হতবাক করেছি।