যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ‘সেভেন সিস্টার্স’

প্রথম আলো মাহবুব মাসুম প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৪৩

‘সেভেন সিস্টার্স’ শব্দযুগলের উপস্থিতি পাওয়া যায় গ্রিক মিথলজিতে, ব্যবহৃত হয় টাইটান আটলাস আর ওশেনিড প্লিওনের সাত মেয়েকে বোঝাতে।


‘সেভেন সিস্টার্স’ শব্দযুগলের সঙ্গে পাঠকদের পরিচয় মূলত ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের রাজ্যগুলোকে কেন্দ্র করে।


এসব রাষ্ট্রের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও জনমিতি বিবেচনায় প্রথম ‘সেভেন সিস্টার্স’ শব্দযুগল ব্যবহার করেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু।


যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে সেভেন সিস্টার্স হিসেবে বোঝানো হয় সাতটি কলেজকে। বার্নাড কলেজ, স্মিথ কলেজ, ব্রায়ান মওর কলেজ, র‍্যাডক্লিফ কলেজ, ভাসার কলেজ, ওয়েসলি কলেজ ও মাউন্ট হলৌক কলেজকে একত্রে বলা হয় ‘সেভেন সিস্টার্স’।


নারীদের শিক্ষার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে উচ্চশিক্ষার পথ খুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এসব কলেজ। আজকের লেখায় ‘সেভেন সিস্টার্স’ বলতে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সাতটি ‘সুইং স্টেট’ নিয়েই আলোচনা হবে।


‘সুইং স্টেট’ কী


যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত অভিযোজিত হয়েছে। নাগরিক প্রত্যাশা আর সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের মধ্যে এ অভিযোজনে নেতৃত্ব দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো।


শুরুতে ইলেকটোরাল কলেজের সদস্যরা ভোট দিতেন দুটি করে। প্রথম দুবারই সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জর্জ ওয়াশিংটন প্রেসিডেন্ট আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জন এডামস ভাইস প্রেসিডেন্ট হন।


সেই জায়গা থেকে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যসংখ্যা ৫০। আর ইলেকটোরাল কলেজের ভোট ৫৩৮টি। ইলেকটোরাল কলেজের ভোট প্রতিটি রাজ্যের জন্য নির্ধারিত।


সর্বোচ্চ ৫৫টি ইলেকটোরাল কলেজের ভোট আছে ক্যালিফোর্নিয়ার। সর্বনিম্ন ৩টি করে ভোট আছে আলাস্কা, ওয়াশিংটন ডিসি, মন্টানা, নর্থ ডাকোটা, সাউথ ডাকোডা, ভারমন্ট আর ওয়াইমিংয়ের মতো রাজ্যগুলোয়।


যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যকে তিন ভাগে ভাগ করা যাবে। কিছু রাজ্য প্রথাগতভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থীরা জয়লাভ করেন।


তাঁরা পরিচিত ‘রেড স্টেট’ নামে। টেক্সাস, ফ্লোরিডা, ওহাইও, জর্জিয়া, ইন্ডিয়ানা, আলবামার মতো রাজ্যগুলো রেড স্টেট হিসেবে পরিচিত। এসব রাজ্য সাধারণত শ্বেতাঙ্গ–অধ্যুষিত।



বিপরীতে কিছু রাজ্য আছে, যেগুলো প্রথাগতভাবেই ডেমোক্রেটিক পার্টির দিকে ঝুঁকে থাকে। এগুলো পরিচিত ‘ব্লু স্টেট’ নামে।


ক্যালিফোর্নিয়া, নিউইয়র্ক, ভার্জিনিয়া, নিউ জার্সি, নিউ মেক্সিকো, ম্যাসাচুসেটসের মতো ডেমোক্রেটিক পার্টির ঘাঁটিগুলো ‘ব্লু স্টেট’। তুলনামূলকভাবে এসব জায়গায় অভিবাসীদের আনুপাতিক হার বেশি।


এর বাইরে কিছু রাজ্যে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রায় সমসংখ্যক সমর্থক রয়েছেন। দুই দলের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় এসব রাজ্যে।


নির্বাচনে এসব রাজ্যই নির্ণায়ক হয়ে ওঠে। এসব রাজ্যের ফলাফলই নির্ধারণ করে হোয়াইট হাউসের পরবর্তী চার বছরের বাসিন্দা কে হবেন।


এসব রাজ্য পরিচিত সুইং স্টেট নামে। এবারের নির্বাচনে সুইং স্টেট সাতটি, যেগুলোর ফলাফলই নির্ধারণ করবে দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর ভাগ্য।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us