সুপ্রিম কোর্টকে বলা হয় জনগণের ন্যায়বিচারের শেষ ভরসাস্থল। সেই ভরসাস্থলকে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ারে পরিণত করা হয় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। উচ্চ আদালতের পরতে পরতে রয়েছে এই রাজনীতিকরণের প্রমাণ। আর এ কাজের গোড়াপত্তন হয় বিচারপতি নিয়োগের মধ্য দিয়ে।
পুরোপুরি রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ হয় বিচারপতিদের। দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশই ছিল নিয়োগের অন্যতম শর্ত। যার আনুগত্য যত বেশি ছিল, নিয়োগে ছিল তার তত প্রাধান্য। আবার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারলেই তাকে দেওয়া হয়েছে পদোন্নতি। বিচারপতিরা নিজেদের শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ হিসেবেও ঘোষণা দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এভাবে চরম দলীয়করণের প্রভাব পড়েছে বিচার কাজেও।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চরম দলীয়করণের কারণেই বিচার বিভাগে নজিরবিহীন ইতিহাস তৈরি হয়েছে। একযোগে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের ছয়জন বিচারপতি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। তবে এখনো হাইকোর্ট বিভাগে দলীয় লেজুড়বৃত্তিতে জড়িত অনেক বিচারপতি তাদের পদে বহাল রয়েছেন। সে কারণে বিভিন্ন মহল থেকে তাদেরও পদত্যাগের দাবি উঠেছে।