এই জমানায় কোনো দেশের শান্তিরক্ষা কিংবা নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আপনি হয়তো ভাবতেও পারবেন না, বিশ্বে এমন কিছু দেশ আছে, যাদের সেনাবাহিনীই নেই। এখন নিশ্চয় আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে, তাহলে বাইরের কোনো আক্রমণ থেকে এই দেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে কীভাবে? উত্তর মিলবে লেখাটি পড়লে।
সামোয়া
ওশেনিয়া মহাদেশের এই দেশের আয়তন মোটে ২ হাজার ৮৪২ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা সোয়া ২ লাখের আশপাশে। দেশটির জন্মের পর থেকেই কোনো সামরিক বাহিনী গড়ে ওঠেনি। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য একটি ছোট পুলিশ বাহিনী ও একটি মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট রয়েছে। তা-ও এই বাহিনীগুলো ছোটখাটো ও হালকা অস্ত্র বহন করে। সাগরে পেট্রল বোটে টহল আছে সামোয়ার এই বাহিনীর। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ১৯৬২ সালের একটি চুক্তির কারণে যেকোনো নিরাপত্তা হুমকিতে পড়লে সামোয়াকে সাহায্য করবে তারা।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ কম জনসংখ্যার দেশের তালিকায় ৮ নম্বরে। জাতিসংঘের হিসাবে এখানে বাস করা মানুষের সংখ্যা ৪২ হাজারের কিছু কম। ওশেনিয়ায় অবস্থিত মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ পাঁচটি তুলনামূলক বড় দ্বীপ ও ২৯টি অ্যাটোল (প্রবাল প্রাচীরবেষ্টিত উপহ্রদ) নিয়ে গঠিত। দেশটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১ হাজার ২২৯টি দ্বীপ আছে। এগুলোর বেশির ভাগ যে একেবারে ছোট তার প্রমাণ, সবগুলো দ্বীপ মিলিয়ে আয়তন ১৮১ বর্গ কিলোমিটার। ছোট্ট এই দেশে জন্মের পর থেকেই কোনো সামরিক বাহিনী নেই। তবে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও সাগরে টহলের জন্য মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট আছে।