‘আমি বোয়ালখালী উপজেলায় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে ছিলাম। সেখানে রাউজান থানার উপপরিদর্শক টুটন মজুমদার কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে হাজির হন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন সন্ত্রাসী। রাত ১২টার পর তাঁরা আমাকে গ্রামের দুই কিলোমিটার দূরের সূর্যসেন পল্লি এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে আমার দুই পায়ে গুলির পর দুই হাতের কয়েকটি আঙুল কেটে দেন তাঁরা। পরদিন পুলিশ ঘটনাটিকে বন্দুকযুদ্ধ দাবি করে আমাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলে পাঠায়।’
স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিমের নির্দেশে পুলিশ ও সন্ত্রাসী বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হওয়ার এবং মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ এনে আজ শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পলোয়ান পাড়ার বাসিন্দা কামরুল হাসান। নিজ গ্রামের একটি মাঠে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
কামরুল হাসান অভিযোগ করেন, কেবল বিএনপির কর্মী হওয়ার কারণেই নির্যাতন করে তাঁর জীবনকে বিপন্ন করে তোলা হয়েছে এবং তাঁকে একাধিক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিমের নির্দেশে এসব নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে পুলিশের উপপরিদর্শক টুটন মজুমদার ছাড়াও জড়িত ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ বাবুল মিয়া।
ঘর থেকে একটি হুইলচেয়ারে করে সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন কামরুল হাসান। তাঁর একটি পা নেই। একটি হাতের কনিষ্ঠ আঙুল পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তাঁর পায়ে গুলি করা হয়। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাঁর চারটি আঙুল প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। যদিও তিনটি আঙুল পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জোড়া লাগানো হয়েছে।