সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) দায়ী করা হলেও ভারতীয় নাগরিকেরাও (গ্রামবাসী) কম মারে না। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভারতীয় গ্রামবাসীর হাতে হত্যার ঘটনা আড়ালে থেকে যায়। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তথ্যমতে, ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যত বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার শিকার হয়েছে, তাদের ৭৭ শতাংশ হত্যা করেছে বিএসএফ; বাকি ২৩ শতাংশ হত্যায় জড়িত ভারতীয় গ্রামবাসী।
২০২২ সালের ২৩ আগস্ট রাতে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার চাউলহাটি-সংলগ্ন বড়ুয়া পাড়া গ্রামে যান আব্দুস সালাম (৩৫) নামের এক বাংলাদেশি যুবক। এ সময় ওই গ্রামের বাসিন্দারা তাঁকে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করে। ঘটনার প্রায় ৯ মাস পর বাংলাদেশি যুবক আব্দুস সালামের মরদেহ ফেরত পায় পরিবার। আব্দুস সালাম বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার সাতমেরা ইউনিয়নের কাহারপাড়া গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে।