হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে চলছে সংস্কার। সুযোগে যারা বিভিন্ন সময় অবৈধ এবং অতিরিক্ত সুবিধা নিয়ে সরকার থেকে প্লট বরাদ্দ নিয়েছিলেন তারা সকলেই সে সব প্লট হারানোর ভয়ে আছেন। অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর নতুন করে আলোচনা তৈরি হয়েছে বিএনপি পল্লি ও আওয়ামী পল্লি নিয়ে।
১৯৯৯ সালে গুলশান, বনানী ও উত্তরায় প্লট বরাদ্দ পান আওয়ামী লীগের ৬৫ জন সংসদ সদস্য। এরপর চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বনানী আবাসিক এলাকার ২০ বিঘা জমি নিয়ে একটি প্লট প্রকল্প তৈরি করা হয়। সেখানে বিভিন্ন আয়তনের ৫৪টি প্লট তৈরি করে বরাদ্দ দেয় রাজউক। এ বরাদ্দের তালিকায় ছিলেন তৎকালীন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।
এদিকে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ থেকেও বিভিন্ন সরকারের সময় সংরক্ষিত কোটায় প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এসব বিষয়ে তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছে পূর্ত মন্ত্রণালয়। এরপর সংস্থাটির পক্ষ থেকে বরাদ্দসংক্রান্ত তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এ তালিকায় বাতিলযোগ্য কিছু প্লটও রয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, জাগৃক থেকে সরকারি প্লট বরাদ্দে শীর্ষ কর্মকর্তারা নিজেরাই নিজেদের নামে কোটা চালু করেছেন। নাম দেওয়া হয়েছে ‘সচিব কোটা’ ও ‘চেয়ারম্যান কোটা’। এসব কোটায় গত এক বছরে ২০ থেকে ৩০টি প্লট বিলি-বণ্টনও হয়েছে। এগুলোর আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। তাই এসব প্লট বাতিল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।