বর্তমান সময়টা এমন, যখন প্রায় প্রতি সপ্তাহেই আমরা মুখোমুখি হচ্ছি নতুন কোনো টার্মের, নতুন কোনো তকমার। প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিউজফিডের বেড়া টপকে আসা এসব নিত্যনতুন টার্মের মধ্যে একটি হচ্ছে 'স্লিপ ডিভোর্স'। শুনেই একটু চোখ কপালে ওঠে। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বিবাহ-বিচ্ছেদ, এও কি সম্ভব? এরপর কিছুটা জানাশোনার পর যদিও বা বিষয়টি নিয়ে অনেকটাই পরিষ্কার হওয়া গেল, কিন্তু এরপরের প্রশ্নটাও কম কৌতূহলী নয়। বাংলাদেশে কি আদৌ এই বিষয়টির চর্চা হয়? বিবাহিত জীবনের সমস্যাগুলো দূর করতে এছাড়া অন্যান্য কী পদ্ধতি রয়েছে? বিয়ে কি তবে অনেকের জন্যই শুধু আশীর্বাদ নয়, বরং সমাজের চাপিয়ে দেওয়া এক গাদা দায়িত্বের বোঝা?
এমন সব প্রশ্নের উত্তর লুকোচুরির বিষয় নয়, এগুলো হতে হয় খোলামেলা। আর তাই সব রহস্যের জট খুলতে গিয়েছিলাম মনোবিকাশ ফাউন্ডেশনের একজন উল্লেখযোগ্য সাইকোথেরাপিস্ট ড. আব্দুল হামিদের কাছে।
কথোপকথনের শুরুতেই তিনি একটু মজা করে বললেন, 'বৈবাহিক জীবনের সমস্যার কথা তো আর বলে শেষ করার নয়'। তবে এরপরই যে সমস্যাগুলো নিয়ে আমাদের সমাজে সবচেয়ে কম কথা বলা হয়, বিয়ের আড়ালে থাকা দুটো মানুষের সেসব দিকের দিকে আলোকপাত করলেন তিনি। এর মধ্যে ছিল বাংলাদেশি দম্পতিদের মধ্যে সঙ্গীর অ্যাসেক্সুয়াল আচরণের গতিবিধি ও জটিলতা, ইরেকটাইল ডিসফাংশন, স্লিপ ডিভোর্স সম্পর্কে আগ্রহ, সামাজিক চাপে পড়ে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগগত সমস্যাসহ আরও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ।