রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় পিকআপ ট্রাক চালান নাসির উদ্দিন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ের সামনে তাঁর স্ত্রী বাবলী ছোট ছোট চার কন্যাসন্তান নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পাশেই অঝোরে কাঁদছিলেন নাসিরের মা রুমেলা আক্তার। তাঁরা জানান, ডিবি পরিচয়ে কয়েকজন গিয়ে বাসা থেকে নাসিরকে তুলে এনেছেন। তাঁরা নাসিরের খোঁজে এসেছেন।
শুধু নাসির নন, রাজধানীতে এখন প্রতিদিনই এমন অসংখ্য স্বজন ভিড় করছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়, বিভিন্ন থানা ও আদালতের সামনে। গতকাল দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ডিবি অফিসের সামনে এমন ৯টি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর। আগের দিনও এমন আরও চারটি পরিবারকে পাওয়া যায় ডিবি কার্যালয়ের ফটকের সামনে। তাঁদের বেশির ভাগই দিনমজুর, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের স্বজন।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, তাঁরা কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করছেন না। তিনি সচিবালয়ে গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ও ভিডিও ফুটেজ এবং সাক্ষীসাবুদ নিয়ে যাদের শনাক্ত করা গেছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ভুলক্রমে যদি কেউ নিয়ে আসে তাহলে থানায় যাচাই করে যাঁদের নিরপরাধ মনে হচ্ছে, তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। কাজেই গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না।