নির্বিচার জেলে ভরে কেন সংকট বাড়ানো হচ্ছে

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১৭:৩৯

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার খিলগাঁও থেকে ৭৫ বছর বয়সী এক ভদ্রলোক টেলিফোন করে বললেন, তাঁদের এক ভাই বিএনপি করেন বলে তাঁকে না পেয়ে আরেক ভাই, ভাইয়ের ছেলে, ভাগনে ও এক ভগ্নিপতিকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে নিয়ে গেছে। তাঁরা বলেছেন, বিএনপি করা ভাইকে ধরিয়ে দিলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে।


ভদ্রলোক আক্ষেপ করলেন যে ওই ভাইয়ের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ নেই। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত কলেজশিক্ষক। বর্তমানে ক্যানসারে আক্রান্ত। কিছুক্ষণ আগে কেমোথেরাপি দিয়ে এসেছেন হাসপাতাল থেকে। তাঁর ভাইয়ের ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও ভাগনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। দরজা খুলতে দেরি করায় গৃহকর্মীকেও পুলিশ মারধর করেছে। পুরো পরিবার মহা দুশ্চিন্তায় আছে। 


প্রথম আলোকে ফোন করে আরেক বন্ধু জানান, পূর্ব রামপুরা সোনালী ব্যাংকের গলিতে স্থানীয় এক স্কুলের শিক্ষিকা থাকেন তাঁর ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে। মেয়ে লাবিবা জাহান ঐশী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরের শিক্ষার্থী। ছেলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হলেও এখনো চাকরি পাননি, বেকার। 


বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ দরজা ধাক্কা দিলে তাঁরা শঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ছেলে আন্দোলনে গিয়েছেন কি না, তাঁর গায়ে কোনো গুলির দাগ বা আহত হওয়ার চিহ্ন আছে কি না, তা দেখে। কিছুই পাওয়া না গেলেও তাঁকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। সবার মোবাইল ফোনও কেড়ে নেয়। যদিও তাতে আন্দোলন–সম্পর্কিত কিছু ছিল না।


ঐশী সম্পর্কে তাঁর বন্ধুদের ভাষ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলন ছড়ালেও তিনি এর সঙ্গে  যুক্ত ছিলেন না, এমনকি ফেসবুকে এ নিয়ে তেমন মন্তব্যও করেননি। ভুক্তভোগী মা ও মেয়ে এখন এক আত্মীয়ের বাসায় উঠেছেন। তাঁরা ভীষণ শঙ্কিত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। 


কেবল ওই ৭৫ বয়সী মুক্তিযোদ্ধা কিংবা স্কুল শিক্ষিকার পরিবার নয়; এ রকম হাজার হাজার পরিবার স্বজনের জন্য উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় আছে। নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছে। সবার পক্ষে থানা–আদালতে দৌড়াদৌড়ি করাও সম্ভব নয়। 


শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় সংঘর্ষ-সহিংসতায় উত্তাল ছিল বাড্ডা-রামপুরা, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, মিরপুর, মোহাম্মদপুর এলাকা। এসব স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। যাঁরা মারা গেছেন বা আহত হয়েছেন, প্রায় সবাই গুলিবিদ্ধ। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us