আগেকার সময় নাকি কনের বাড়িতে গেলে কনে দেখার পাশাপাশি একছুতোয় বাথরুমটাও ঘুরে আসতেন গুরুজনেরা। কেননা ড্রয়িংরুম তো সবাই গুছিয়েই রাখে। বাথরুম দেখেই নাকি সেই পরিবারের রুচি আর আভিজাত্য বোঝা যায়! এই সময়ে দাঁড়িয়েও বিষয়টি একই রকমভাবে প্রাসঙ্গিক। একজন তরুণী ফ্যাশনসচেতন কি না, সেটা নাকি বিচার করা যায় হাতব্যাগ দিয়ে, ছেলের ফ্যাশন মাপা হয় তাঁর পায়ের জুতা দিয়ে আর ঘর চেনা যায় বাথরুম দিয়ে। তাই আধুনিক লাক্সারি বাসায় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হয় বাথরুমের নকশা।
বড় আয়না
বহুকাল ধরে বাথরুমে ছোট চারকোনা বা গোলাকৃতির আয়নার চল ছিল। তবে কয়েক বছর হলো বাথরুমে বড় আয়নার ব্যবহার বাড়ছে। বড় আয়নায় বাথরুমের একটা বড় অংশের প্রতিবিম্ব পড়ে। ফলে বাথরুমটাকে মনে হয় দ্বিগুণ। এ ছাড়া গোল আর চারকোনার পাশাপাশি চলছে অনিয়মিত আকারের (ইরেগুলার শেপ) বড় আয়না। কিছু কিছু আয়নার ভেতরে এলইডি লাইটও বসানো থাকে।
ভ্যানিটি ও ক্যাবিনেট
বাথরুমে ভ্যানিটি ঢুকে পড়েছে, এ তো পুরোনো খবর। এই ভ্যানিটিতে বাথরুমের তোয়ালে থেকে শুরু করে টয়লেট টিস্যু, সাবান, শ্যাম্পুর সঙ্গে মাঝেমধ্যে বই, আইপ্যাডও পাওয়া যায়। নতুন খবর হলো, চলতি ধারায় ভাসমান (ফ্লোটিং) ভ্যানিটিও রয়েছে। মেঝে থেকে এক ফুট বা দুই ফুট উঁচুতে থাকে এই ভ্যানিটি। বাথরুমের দরজার ওপরে, বেসিনের নিচে অথবা টয়লেটের সিটের ওপরে রাখা হয় এই স্টোরেজ। এখন টয়লেটের ভিতও মেঝে থেকে কয়েক ইঞ্চি ওপরে বসানো হয়, যাতে মেঝে পুরোটাই দেখা যায়। এ ছাড়া থাকে তাক। টাইলসের ভেতরে–ভেতরে ফাঁকা জায়গা রাখা হয়। তাতে আলাদা করে জায়গা লাগে না। হ্যান্ডওয়াশ বা বডিওয়াশের জন্য অনেকে বাথরুমের নকশা আর রঙের সঙ্গে মানানসই দেয়ালের সঙ্গে জোড়া স্থায়ী ডিসপেনসার রাখেন। খালি হলে সেটা ভরে নিলেই আলাদা করে সেসবের কৌটা রাখার প্রয়োজন পড়ে না।