বাংলাদেশের অন্যতম কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদ দাবার গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান। মাত্র ৫০ বছর বয়সে জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ খেলা অবস্থায় দুনিয়া ত্যাগ করেন। জিয়াউর রহমানের বিদায় একেবারে আকস্মিক দুর্ঘটনা হলেও বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে চিকিৎসা ব্যবস্থার দুর্বলতা ফুটে উঠেছে প্রকটভাবে। ঢাকা পোস্টের সিনিয়র স্পোর্টস রিপোর্টার আরাফাত জোবায়ের সেটি খুঁজে বের করেছেন।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে নেই চিকিৎসক-কম্পাউন্ডার
ক্রিকেট, সাঁতার ও শ্যুটিং বাদে দেশের বাকি সকল খেলার ভেন্যু– ফেডারেশন কার্যালয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকা। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরাতন ভবনের জিমনেশিয়ামে জিমন্যাস্টিক্স ও তায়কোয়ান্দোর অনুশীলন হয়। তৃতীয় চলায় চলে দাবা টুর্নামেন্ট। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবন লাগোয়া বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে ফুটবল, হকি, হ্যান্ডবল, ভলিবল, টিটি, ব্যাডমিন্টন, বক্সিং, ভারত্তোলন, কুস্তি এবং উশুসহ অনেক খেলোয়াড়দের পদচারণা চলে দিনভর। ক্রিকেট ও ফুটবল বাদে দেশের অন্য কোনো ফেডারেশনের আর্থিক স্বচ্ছলতা একেবারেই নেই। যেখানে খেলা চালাতেই তারা হিমশিম খায়, সেখানে স্থায়ী চিকিৎসক রাখা তাদের জন্য বড় বিলাসিতাই! অনেক ফেডারেশন বড় টুর্নামেন্ট/লিগ চলাকালেও চিকিৎসক রাখতে পারে না।