কোটা পুনর্বহাল–সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর করা আবেদন কাল বুধবার আপিল বিভাগে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ আদেশ দেন।
এর আগে আজ সকালে আবেদন দায়ের করার জন্য হলফনামার অনুমতি চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন ওই দুই শিক্ষার্থী। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হলফনামা করার অনুমতি দেন।
অনুমতির পর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনটি দায়ের করা হয়, যা আজ দুপুরে চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। দুই শিক্ষার্থী হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া ও উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান। আল সাদী ভূঁইয়া সাংবাদিক ও আহনাফ সাঈদ খান কোটাসংস্কারপন্থী।
আদালতে দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম হারুনুর রশীদ খান।
পরে আইনজীবী এম হারুনুর রশীদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থী আবেদনটি করেন। চেম্বার আদালত আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে কাল শুনানির জন্য নির্ধারণ করেছেন।’
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত কোটাপদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন চাকরিপ্রত্যাশী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন।