বাজেটে আশার চেয়ে হতাশার পাল্লা ভারি

সমকাল ড. জাহিদ হোসেন প্রকাশিত: ০৮ জুন ২০২৪, ১১:২৬

সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে, বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমানে জরুরি যেসব প্রয়োজন রয়েছে এবং মধ্যমেয়াদে যেসব চ্যালেঞ্জ, সেগুলো মোকাবিলায় প্রস্তাবিত বাজেট সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তবে বাজেটে বেশ কিছু ইতিবাচক বিষয় অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ যে বাস্তবতার মুখোমুখি, তা বদলাতে এবং সরকারের কাছে মানুষের যে প্রত্যাশা, তা পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অনেক কম। তার মানে ইতিবাচক বিষয়ের চেয়ে হতাশা বেশি স্পষ্ট হচ্ছে।


সামষ্টিক অর্থনীতির বর্তমান বাস্তবতায় বাজেটটি করা হয়েছে। সে আলোকে এর চেয়ে বড় বাজেট দেওয়া সম্ভব ছিল না। বিশেষ করে বাজেট ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের ওপর সরকারকে নির্ভরশীল হতে হচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তার আকারও অনেক বেশি, জিডিপির তুলনায় যদিও তা সে অর্থে বেশি নয়। ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকার অভ্যন্তরীণ ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাংকে টাকা ও ডলারের তারল্যের ওপর চাপ বাড়াবে। একই সঙ্গে এটি উচ্চাভিলাষী ৬.৭৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। অর্থমন্ত্রী মূল্যস্ফীতিকে ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, সেখানেও এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে না।


নির্বাচন-পরবর্তী প্রথম বাজেট হিসেবে কাঠামোগত সংস্কারের প্রত্যাশা ছিল। বিশেষত ব্যাংক ও রাজস্ব খাতে সংস্কার জরুরি ছিল। সে পরিপ্রেক্ষিতে এবারের বাজেট বক্তৃতাকে হতাশাব্যঞ্জকই বলতে হবে। সরকার রাজনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জিং কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে জরুরি সংস্কার এড়িয়ে চলতে চায়। মন্ত্রটা যেন এ রকম– চ্যালেঞ্জগুলো স্বীকার করবে, পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেবে, তবে খুব কমই বাস্তবায়ন করবে।


উদাহরণ হিসেবে আমরা দেখছি, এলডিসি বা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ক্ষেত্রে সরকার ভুটানের সঙ্গে যেভাবে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) করেছে, তারই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। ইউরোপে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে এবং চীন, ভারত বা এমন আরও ভালো বাজারে পণ্য রপ্তানিতে অগ্রাধিকার পেতে সরকার আগামী বছর কী করবে, তার কোনো ইঙ্গিত নেই বললেই চলে। শুল্ক যৌক্তিকীকরণে সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যা সাধুবাদযোগ্য। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এসব পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়।


আর্থিক খাতে সুশাসনের অভাব গেড়ে বসেছে। জবাবদিহি নেই বললেই চলে। বাজেটে এ সমস্যা সমাধানের বিষয়টি প্রয়োজন অনুসারে মনোযোগ পায়নি। বাজেট বক্তৃতায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং আর্থিক স্থিতিশীলতার বিষয়টি মিলিয়ে ফেলা হয়েছে। মনে হচ্ছে, সেগুলো এক ও অভিন্ন। বাজেট বক্তব্যে তৃণমূল পর্যায়ে আর্থিক খাতের সংস্কার বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরা হলেও রাষ্ট্রীয় মালিকানার প্রায় সব ব্যাংক এবং কিছু দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকের গভীর সংকট তথা করপোরেট সুশাসনের ব্যর্থতা সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করা হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us