স্যাঁতসেঁতে গুমোট পরিবেশ। গুহার ভেতর থেকে ভেসে আসছে বোঁটকা গন্ধ। ডানা ঝাপটে আসা-যাওয়া করছে কিছু নিশাচর। এক কোণে গুহার দেয়ালে উল্টো হয়ে ঝুলছে কয়েকটা। অনাহূত অতিথিদের ড্যাবড্যাব করে দেখছে। রেগে আছে ওরা? থাকলে অবশ্য ওদের দোষ দেওয়া চলে না। নিজেদের আস্তানায় অনাহূত অতিথি কারোরই ভালো লাগার কথা না। দুখানা তাঁবু গেড়ে গুহামুখে বসে আছে কয়েকজন দুপেয়ে, এ তো রীতিমতো উপদ্রব বাদুড়ের দলের কাছে।
২০১৪ সালের শুরুর দিকে বান্দরবানের আলীকদমের ওই গুহামুখে সে রাতে বসে ছিলাম আমরা। বাদুড়ের ওই গুহা দখল করতে নয়, বরং ওদের নিবাসে আমাদের গোত্রের প্রাণীদের বানানো আবর্জনার ভাগাড় পরিষ্কার করতে। বাবর আলীর ডাকেই মূলত ওই রাত্রিবাস। বেশ জমানো আড্ডা চলছিল। কিছুদিন আগে সাকা হাফং পাহাড়ে চড়তে গিয়ে আমাদের পরিচয়। সবাই নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা বলছে। হিমালয় থেকে বান্দরবান—কিছুই বাদ গেল না। গল্পের ফাঁকেই উঠে এল চাপা হতাশা।