ঘূর্ণিঝড়ের আগমনী আতঙ্ক বেশ কদিন রইল। নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে ঘূর্ণিঝড়টি দুই দিন রয়েছে বটে, কিন্তু উপকূলে যা সর্বনাশ হওয়ার তা হয়ে গেছে। এবারের বড় আলোচনার বিষয় ছিল বাঁধ, যে বাঁধগুলো নিয়ে গতবারও কথা হয়েছে। সেই বাঁধগুলোর তেমন কোনো সংস্কার হয়নি। ফলে আবার বাঁধ ভেঙে লবণাক্ত পানি ফসলের জমিতে ঢুকে পড়েছে। ভবিষ্যতে এই ফসলি জমিগুলো লবণাক্ততার দোষে দুষ্ট হয়ে উর্বরতা হারাবে। অবকাঠামো উন্নয়নের কালে এই বাঁধগুলোর কেন উন্নতি হয় না, তা বোঝা খুব কঠিন নয়। বহু বছর ধরেই এমন চলছে।
প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ বাংলাদেশ কখনোই এড়াতে পারবে না। কয়েক বছর ধরে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস পশ্চিমবঙ্গেও সম্প্রসারিত হয়েছে। সাগরদ্বীপ থেকে কলকাতায় তার ডানা বিস্তার করেছে।