২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ৬ জুন জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত হবে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের আগামী বাজেটকে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে। যেমন মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রা মজুত হ্রাস, লেনদেনে অস্থিতিশীলতা, দেশি-বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধের চাপ।
অধিকন্তু, বৈশ্বিক অর্থনীতির অস্থিরতার ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বাড়তি চাপও সামাল দিতে হবে। তাই, এতসব নেতিবাচক অর্থনৈতিক নিয়ামকের চাপ সামাল দিয়ে বাজেটের মাধ্যমে সমষ্টির অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন কতটুকু সম্ভব তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান।
বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যমতে, আগামী অর্থবছরের জন্য সরকার ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকার বাজেটের প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করেছে। বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬.৭৫ শতাংশে ও মূল্যস্ফীতির হার ৬.৫ শতাংশে আটকে রাখার লক্ষ্যমাত্রা থাকতে পারে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ৬ জুন জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত হবে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের আগামী বাজেটকে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে। যেমন মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রা মজুত হ্রাস, লেনদেনে অস্থিতিশীলতা, দেশি-বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধের চাপ।
বাজেটে মোট আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এনবিআর এর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১৬ শতাংশ বেশি। আর বাজেটে ঘাটতি থাকবে ২ লাখ ৫০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এই ঘাটতি বিগত বছরের ন্যায় অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের মাধ্যমে মেটানোর সম্ভাবনা থাকবে।
আকার যাই হোক না কেন, আসন্ন বাজেটের মূল লক্ষ্যই হবে মূল্যস্ফীতির চাপ নিয়ন্ত্রণে আনা। কেননা, মূল্যস্ফীতিই হচ্ছে বর্তমান সময়ে অর্থনীতির সবচেয়ে বড় ও নির্মম ঘাতক। পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে। লাগামহীন, অনবরত। সাধারণ মানুষের জীবনকে একেবারে তছনছ করে দিচ্ছে। এর ভয়ংকর আঘাতে নিম্নবিত্তের নাভিশ্বাস উঠেছে।
আর মধ্যবিত্তের হাঁসফাঁস অবস্থা। সরকারের সব প্রচেষ্টায় এর কাছে ধরাশায়ী। দেখে মনে হচ্ছে, অর্থনীতি যেন নিজেই দিশাহারা। এর আস্ফালনে দেশের অন্যান্য অর্জনগুলো ম্লান হয়ে পড়ছে। তাই, মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণ সর্বাগ্রে। অন্যান্য সমস্যা পরে মোকাবিলা করা যেতে পারে।
সরকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংশোধিত মূল্যস্ফীতির হার ৭.৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। যদিও বাজেট ঘোষণায় মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ ধরা হয়েছিল। কিন্তু মূল্যস্ফীতিকে সেই লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে আনা কখনো সম্ভব হয়নি।
বছরজুড়েই মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ ছুঁইছুঁই করছে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে মূল্যস্ফীতির হার ৯.৭৪ শতাংশে ও খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ১০.২২ শতাংশে দেখানো হয়েছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি বর্তমানে ১৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে অপর সরকারি গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা বিআইডিএস।