মূল্যস্ফীতির ঢেউ মোকাবেলা করে জনগণের আকাঙ্খা পূরণই আওয়ামী লীগ সরকারের চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট প্রণয়নের পরিকল্পনার মূলে থাকলেও পর্যায়ক্রমে ভর্তুকি ও এর আওতা কমিয়ে ফেলার নীতি অনুসরণ করাই যৌক্তিক পদক্ষেপ হবে বলে মনে করছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার।
ভর্তুকি তুলে নিলে বা কমিয়ে ফেললে সাধারণ ও সীমিত আয়ের মানুষের ওপর আরও চাপ তৈরি হবে। উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে জেরবার হওয়ার এ সময়ে ভর্তুকি তুলে দেওয়ার মত অজনপ্রিয় পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী টানা চার মেয়াদ ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের সক্ষমতা বাড়ার কথা তুলে ধরেন।
তার মতে, সরকারের পাশাপাশি মানুষের সক্ষমতাও বেড়েছে। ধনী ও গরিব সবাই একই হারে এ সুবিধা ভোগ করে বলে ভর্তুকিতে সমাজে অন্যায্যতাও তৈরি হয়।
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের শেষ ভাগের যোগ-বিয়োগের কাজ এগিয়ে চলার মধ্যে সরকারের ভর্তুকি বিষয়ক ভাবনার বিষয়ে এমনটাই আভাস দিলেন শহীদুজ্জামান সরকার।
আগামী ৬ জুন সংসদে উপস্থাপিত হতে যাওয়া নতুন বাজেট বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “বাজেট তো সবসময় একটা আদর্শিক হিসাব-নিকাশ, সেই অর্থে শুধু অঙ্কের হিসাব নয়।”
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও ভর্তুকি তুলে নেওয়ার মত বড় দুই চাপের মধ্যে বড় অঙ্কের বিদেশি ঋণ পরিশোধের বিষয়টিও সরকারকে ভোগাবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা। এমন প্রেক্ষাপটেও আগামী বাজেটের উন্নয়ন কর্মসূচির প্রকল্পগুলোর জন্য লাখ কোটি টাকার বিদেশি অর্থায়নের মধ্যেও খারাপ কিছু দেখছেন না পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান।