তরুণ প্রজন্ম আশা-শঙ্কার দোলাচলে জীবনযাপন করছে। তারা জীবনের তাৎপর্য উপলব্ধি করতে অক্ষম। তারা প্রযুক্তির খপ্পরে পড়ে ঘুমাতে যেতে যেতে দেখে রাত শেষ। আর ঘুম থেকে উঠে দেখে দিনশেষ। ক্রমশ তারা লক্ষ্য থেকে দূরের মানুষ হয়ে পড়ছে। সবচেয়ে মূল্যবান বিনিয়োগ-মনোযোগ। এ মনোযোগ বিক্ষিপ্ততার শিকার তারা। ভোগ্যপণ্য, প্রযুক্তিপণ্যের আগ্রাসনে তরুণরা বিভ্রান্ত। মনোদৈহিক সমস্যাগ্রস্ত তরুণদের মুক্তির পথ-দিশা হিসেবে মেডিটেশন কী কী ইতিবাচক প্রভাব ফেলে তা নিয়ে কথকতা।
তরুণ শিক্ষার্থীরা নানাবিধ প্রতিযোগিতা, পরীক্ষা, জীবনযাপনের বৈপরীত্যপূর্ণ পরিবেশে স্নায়ুচাপে থাকে। তাদের দেহ-মনের যত্নায়নে, মনোদৈহিক সুস্থতা নিশ্চিতে মেডিটেশনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। একজন ধ্যানী তরুণের মস্তিস্ক অপ্রয়োজনীয় জিনিসে আসক্তি হারায়। তার মস্তিস্ক ইতিবাচক সুনির্দিষ্ট বিষয়ে নিমগ্ন হয়। চিত্তকে বিষয়ের সঙ্গে একাত্ম করে। মস্তিস্কের ক্ষমতাকে নিখুঁতভাবে প্রয়োগ করে। মেডিটেশন বুদ্ধিমত্তা, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি এবং মনোযোগকে দ্বিগুণ করে। অবসন্নতা, ক্লান্তি দূর করে দেহে এন্টিবডির পরিমাণ বৃদ্ধি করে।