গরম পড়ছে। গরমের দিনে ঘাম তো হবেই। ঘামের কটু গন্ধ বিরক্তির উদ্রেক করলেও ঘাম হওয়াটা কিন্তু খারাপ নয়; বরং গরম আবহাওয়ায় বেঁচে থাকার জন্য এটি দেহের একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। তবে এ কথাও ঠিক যে ঘামের মাধ্যমে দেহ থেকে প্রচুর পানি ও প্রয়োজনীয় লবণ বেরিয়ে যায়। এর ফলে হতে পারে পানিশূন্যতা ও লবণের ঘাটতি। তাই গরমের সময় ঘামের বিষয়ে সচেতন থাকা আবশ্যক।
যখন আপনি বেশ ঘামছেন, তখন ছায়াশীতল পরিবেশে অবস্থান করতে চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল হচ্ছে এমন জায়গায় থাকতে পারলে ভালো। সেটি সম্ভব না হলে সব সময় সঙ্গে রাখতে পারেন ছোট্ট একটি ফ্যান, যা ব্যাটারিতে চলে। ঘাম হলে কিন্তু ঘাম মুছেও ফেলতে হবে। তা না হলে তাতে জন্ম নেবে জীবাণু। জীবাণুর কারণে ঘামে কটু গন্ধ হয়। আর এসব জীবাণু দিয়ে ত্বকে সংক্রমণ হওয়ারও ঝুঁকি থাকে। এমনটাই বলছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মতলেবুর রহমান।
ঘাটতি মেটাতে যা করবেন
ঘাম হলে পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে। অতিরিক্ত ঘাম হলে ওরস্যালাইন কিংবা ডাবের পানি খাওয়া উচিত। এগুলোর বিকল্প হতে পারে সামান্য লবণ মিশ্রিত পানি কিংবা পানীয়। মনে রাখতে হবে, গ্লুকোজ কিংবা চিনি মেশানো তরল খাবার খেলে কিন্তু লবণের ঘাটতি পূরণ হয় না। তা ছাড়া অতিরিক্ত চিনি বা গ্লুকোজ গ্রহণ করা খুব একটা স্বাস্থ্যকরও নয়। উচ্চ রক্তচাপ, দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগ কিংবা হৃৎপিণ্ডের বৈকল্য থাকলে অবশ্য বাড়তি লবণ খেতে নিষেধ করা হয়। তাঁদের কারও কারও আবার পানি পানের বেলায়ও থাকে বিধিনিষেধ। কিন্তু অতিরিক্ত ঘাম হলে তাঁরা ডাবের পানি, ওরস্যালাইন বা সামান্য লবণ মেশানো পানি খেতে পারবেন। অর্থাৎ ঘামের মাধ্যমে বেরিয়ে যাওয়া পানি এবং লবণের ঘাটতি সবাইকেই পূরণ করতে হবে।