নববর্ষ উপলক্ষে দেশের নানান জায়গায় বসবে বৈশাখী মেলা। বরণ করে নেওয়া হবে নতুন বছরকে প্রীতি-সম্ভাষণে, গানে, আমোদে আর মুখরোচক খাদ্যে। মেলা বসবে নানান জায়গায়, রমনার বটমূলে বসবে গানের আসর, চিরায়ত বাঙালি খাবার উঠে আসবে আমাদের রসনায়।নারী-পুরুষ, ছেলে-বুড়ো, শিশুদের কলকাকলিতে ঘন হয়ে আসবে আকাশ-বাতাস। বৈশাখী মেলা আমার মনে পাঁচটি আঙ্গিকে দেখা দেয়—উৎসব, অর্থনীতি, ঐতিহ্য, আত্মসত্তা এবং সর্বজনীনতা।
১। বৈশাখী মেলার উৎসবের দিকটি তো চিরচেনা। ঐ যে মেলা গ্রামে-গঞ্জে, নগরে-বন্দরে বিশাল মাঠে, পথের পাশের স্বল্প পরিসর স্থানে; ঐ যে মাটির পুতুল, ঘোড়া, হাতি, বর-কনে, নাগরদোলা; ঐ যে বাউলগান গ্রামের মেলায় আর রমনার বটমূলে ছায়ানটের আসর ঢাকা শহরে; ঐ যে রঙিন পোশাকে সুসজ্জিত নর-নারী, বালক-বালিকা; ঐ যে উচ্ছ্বসিত আর উৎফুল্লিত শিশুর দল—সবই তো বৈশাখী মেলার উৎসব। নানান রঙে আর ঢঙে বাঙালিরা আমোদিত হয় বছরের প্রথম দিন।