টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার একটি ইউনিয়ন পাথরাইল। এই ইউনিয়নের দুটি গ্রাম চণ্ডী ও পাথরাইল। গ্রাম দুটির বুক চিরে চলে গেছে টাঙ্গাইল–দেলদুয়ার পাকা সড়ক। সড়কটা মোটামুটি ব্যস্ত হলেও এখনো বাংলাদেশের আর দশটা গ্রামের মতোই দুপুরের পর ঝিমিয়ে পড়ে পাথরাইল আর চণ্ডী, সন্ধ্যার পর নিঝুম। তারপরও বাংলাদেশের অন্য কোনো গ্রামের সঙ্গে এ জায়গাকে মেলানো যাবে না। কেন? পাথরাইল নামটা পড়েই সমঝদার পাঠক বুঝতে পেরেছেন। টাঙ্গাইল শাড়ির ঠিকানা যে এই পাথরাইল ইউনিয়ন। এই জায়গাকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে টাঙ্গাইল শাড়ির বাণিজ্য।
টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার সড়কের পাথরাইল–চণ্ডী অংশের দুই পাশেই পাকা দালান, কাচঘেরা ঝাঁ–চকচকে দোকান দেখে জায়গাটাকে শহর বলে ভ্রম হবে। শুধু কি সড়কের দুই পাশ? চণ্ডী ও পাথরাইল গ্রামের কাঁচা রাস্তার অলিগলিতে দোতলা, তিনতলা বাড়িগুলো সচ্ছলতা, বিত্তবৈভবের জানান দেয়। প্রায় সব বাড়ির সামনের অংশ শাড়ির শোরুম। পেছনের অংশে আড়ত বা ব্যবসাটির স্বত্বাধিকারীর বাড়ি। টাঙ্গাইলে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কামনাশীষ শেখর বললেন, ‘শুধু ব্যবসা করে সৎভাবে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে বিত্তবৈভবের মালিক হওয়ার উদাহরণ এই পাথরাইলে পাবেন। ব্যাংকগুলো ছুটে আসে এখানে ব্যবসায়ীদের গ্রাহক বানাতে।’ এসব কারণেই বললাম, পাথরাইল ও চণ্ডী বাংলাদেশের ব্যতিক্রমী গ্রাম।