ইমরান ও জেরিন দম্পতির এটা দ্বিতীয় ঈদ। গত বছরের মে মাসে বিয়ের পরপরই কোরবানির ঈদ পড়েছিল। চেনা–জানা পর্ব পেরিয়ে প্রেম যে খুব বেশি দিনের, তা নয়। প্রথম পরিচয়ের চার থেকে পাঁচ মাসের ভেতরেই দুই পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে কিঞ্চিৎ হুড়াহুড়ির ভেতরেই হয়েছে বিয়ের আয়োজন। দুজনের কেউ ফ্যাশন নিয়ে খুব বেশি ভাবেন না। সাধারণ, ছিমছামভাবে চলাফেরা করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
ইমরানের জন্ম রাজধানীর জিগাতলা হলেও বেড়ে ওঠা ডেমরার কোনাপাড়ায়। ছোটবেলার বেশির ভাগ ঈদও সেখানেই কেটেছে। ছোটবেলার ঈদ নিয়ে অন্য সবার মতো ইমরানেরও অনেক মধুর স্মৃতি আছে। নতুন কাপড় নিয়ে উত্তেজনা থাকত। কিছুক্ষণ পরপর নতুন কাপড় হাতে নিয়ে দেখতেন। ঘ্রাণ নিতেন। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলার ঈদের সঙ্গে আসলে কোনো কিছুর তুলনা চলে না। এখন আর তেমন উত্তেজনা কাজ করে না। সত্যি বলতে কি, কোনো উত্তেজনাই কাজ করে না।’ সালামি দেওয়া–নেওয়ার কথা জানতে চাইলে ইমরান বলেন, ‘আগে ১০ টাকা, ২০ টাকার একটা চকচকে নোট পেলেই দিতাম দৌড়। ১০০ টাকা হলে সে কী আনন্দ! সেই খুশি রাখার কোনো জায়গা ছিল না। এখনকার অনেকে সেটা বুঝবেই না। এখন তো কাউকে ৫০০ টাকার কম সালামি দিলে মন খারাপ করে।’