আমরা বাল্যকাল থেকেই শুনে এসেছি, শিক্ষক হলেন জাতির আলোকবর্তিকাবাহী এবং মানবজাতির ভবিষ্যৎ রূপকার। ঘুণে ধরা সমাজব্যবস্থা ভেঙে শিক্ষকেরাই পারেন নতুন সমাজ গড়তে। শিক্ষকদের বলা হয় জীবনের চরিত্র গঠনের প্রথম গুরু, মানুষ গড়ার শ্রেষ্ঠ কারিগর। তাঁদের অসাধারণ পাণ্ডিত্য, চারিত্রিক মাধুর্য ও স্নেহময় মধুর ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে হয়ে ওঠেন আদর্শের প্রতীক। শিক্ষকেরাই জাতির বিবেক বলে বিবেচিত হন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কিছু শিক্ষকের চরিত্র স্খলনের যে কিচ্ছা-কাহিনি শোনা যাচ্ছে, তা গোটা শিক্ষকসমাজের জন্য লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব ঘটনা এত দিনের চেনা শিক্ষকদের আদর্শগত চরিত্রের ওপর কলঙ্কের কালিমা লেপন করে দিচ্ছে। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ—বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় একের পর এক যে ঘটনা ঘটছে, তাতে শুধু নারী শিক্ষার্থীরাই নন, কখনো কখনো নারী শিক্ষকেরাও যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। গত দুই বছরে দেশের শীর্ষ ৫ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭টি যৌন হয়রানির ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।
কিন্তু এমন অনেক ঘটনা আছে, যা সবার দৃষ্টির আড়ালেই থেকে যায়। হয়রানি কিংবা কলঙ্কের হাত থেকে বাঁচার জন্য ভুক্তভোগীরা অনেক ঘটনাই গোপন রাখেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, অভিযোগ করার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা আড়াল করে রাখে। সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যা ও কাজী ফারজানা মীমের ধারাবাহিক হয়রানির ঘটনা উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়।