একযুগ পার হলেও বাস্তবায়ন হয়নি পুরান ঢাকা থেকে সব কেমিক্যাল গুদাম স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরও ২ হাজার কেমিক্যাল গুদামের বিপরীতে শ্যামপুরে অস্থায়ীভাবে মাত্র ৫৪টি প্রস্তুত হয়েছে। সেখানে এখনো পর্যন্ত যায়নি একজনও ব্যবসায়ী। পাশাপাশি টঙ্গীতে আরও ৫৩টি অস্থায়ী কেমিক্যাল গুদাম তৈরির কাজ চলমান। এছাড়া মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে স্থায়ীভাবে ৩০০ একর জায়গায় কেমিক্যালপল্লি তৈরির কাজ চলছে ‘কচ্ছপগতি’তে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর কার্যকর তৎপরতা না থাকার কারণেই মূলত কেমিক্যাল গুদাম স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পুরান ঢাকায় যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটতে পারে-এমন আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
তাদের আরও অভিমত-যেখানে-সেখানে কেমিক্যাল গুদাম তৈরি করলে হবে না। স্থানান্তরের স্থানে গুদাম গেলে ব্যবসা হবে কিনা-তা বিবেচনা করতে হবে। সরকার যেখানে গুদাম স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে, সেখানে যদি ব্যবসা না হয় তাহলে তো ব্যবসায়ীরা যেতে চাইবেন না। পাশাপাশি আইনের প্রয়োগেও কঠোর হতে হবে। পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল ব্যবসা জমজমাট চলছে। এমন পরিবেশ থেকে তারা সহজে সরতে চাইবে না। সার্বিক দিক বিবেচনা করে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।