জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম অবসরে গিয়েছেন কয়েক বছর আগে। সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডে তিনি সহায়তার জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই তথ্য জেনে যায় প্রতারকেরা। সঙ্গে তাঁর নানা ব্যক্তিগত তথ্যও প্রতারকদের হাতে চলে যায়।
রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, প্রতারকেরা তাঁকে সহায়তা দেওয়ার কথা বলে ক্রেডিট কার্ডের নম্বর নিয়ে নেয়। এরপর ১০ দফায় ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) নম্বর নিয়ে ১০টি লেনদেন করে। রফিকুল হারান প্রায় তিন লাখ টাকা।
ঘটনাটি ২০২২ সালের। ডিজিটাল লেনদেন বৃদ্ধির সঙ্গে এভাবে প্রতারণাও বাড়ছে। প্রতারকেরা ধরা পড়ছে, মামলা হচ্ছে, কিন্তু প্রতারণা কমছে না। নিরাপত্তাবিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতারিত হওয়া ঠেকাতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।
ইস্টার্ণ ব্যাংকের হেড অব ইনফরমেশন সিকিউরিটি মো. আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, কিছু বিষয় মেনে চললে প্রতারণার শিকার হতে হয় না। গোপন নম্বর (পাসওয়ার্ড ও পিন) কাউকে বলা যাবে না, এটা মনে রাখতে হবে। তিনি বলেন, বিল পরিশোধের সময় চোখের সামনে যেন লেনদেন হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, কার্ড নকল (ক্লোন) করে অপরাধ ঘটছে। গ্রামপর্যায়ে এসব বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো দরকার।