মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে জাতীয় মুক্তি আমরা পেয়েছি, তা আমাদের বহু কিছু দিয়েছে। দিয়েছে নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা, তা সে সিদ্ধান্ত ভুল বা সঠিক যা–ই হোক না কেন। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ব্রিটেন আর তারপর পাকিস্তানের মতো শাসকদের কর্তৃত্ব থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের জনগোষ্ঠী তার প্রতিটি অংশে নিজস্ব উদ্যোগের স্পৃহা সঞ্চার করতে পেরেছে। এ কারণে আমাদের অর্থনীতির ওপর থেকে ব্রিটিশ এবং অবাঙালি ক্ষমতাবান ব্যবসায়ীদের আধিপত্য হটে গিয়েছে। এই অর্থপূর্ণ পরিবর্তন স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে লক্ষ করা গেছে।
বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্ষুদ্র কৃষক, নারী–কর্মী, ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতা, অভিবাসী শ্রমিক, পোশাক রপ্তানিকারক, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা বা বেসরকারি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা প্রভৃতির মধ্যে উদ্যোগী গতিশীলতা দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এসবের মধ্যে কিছু নেতিবাচক দিক থাকা সত্ত্বেও এর ফলে আমরা ভিক্ষার ঝুলি ফেলে দিয়ে উন্নীত হয়েছি একটি সম্ভাবনাময় অর্থনীতিতে।