যে তিন বিষয়ের সুরাহা ছাড়া ব্যাংক একত্রীকরণ সফল হবে না

প্রথম আলো ফারুক মঈনউদ্দীন প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৪

ব্যাংক একত্রীকরণ নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাংকিং তথা আর্থিক খাতে বেশ কিছুদিন ধরে একটা ব্যাপক কৌতূহল এবং আলোচনার খোরাক সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, ব্যবসায়িক কৌশলগত এই রেওয়াজ খুব স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আগে কখনো দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেনি।


বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ১০টি পাকিস্তানি মালিকানাধীন ব্যাংককে একত্রীকরণ করে ৪টি (সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী) রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে পরিণত করা হয়েছিল। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরের ব্যাংক একত্রীকরণের বিষয়টি জনমনে বিশেষ আলোড়ন তোলেনি। কারণ, ৯ মাস একটা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মতো একটা বড় অভিজ্ঞতা এবং পরবর্তী সময়ে অর্জিত বিজয়ের বিহ্বলতায় দেশের মানুষ যেন কিছুটা হতবুদ্ধি হয়ে পড়েছিল।


সেই সময়ে ব্যাংকিং সেবা গ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বর্তমান সময়ের তুলনায় অনেক কম ছিল বলে জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ বিষয়টি নিয়ে তেমন আগ্রহী ছিল না। উপরন্তু পশ্চিম পাকিস্তানি মালিকদের পরিত্যক্ত প্রতিষ্ঠানের এই পরিণতি ছিল প্রত্যাশিত।

এই একত্রীকরণের ৩৮ বছর পর ২০১০ সালে আরেকটি ব্যাংক একত্রীকরণের ঘটনা ঘটেছিল। বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক ও শিল্পঋণ সংস্থাকে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে রূপান্তরের মাধ্যমে। একীভূত এই দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাধারণ মানুষের উল্লেখযোগ্য কোনো যোগাযোগ ছিল না বলে এই একত্রীকরণের বিষয়েও বিশেষ কৌতূহল ছিল না তাঁদের মধ্যে।


ওপরে বর্ণিত একত্রীকরণের এই দুটি ঘটনার সঙ্গে বর্তমান সময়ের আলোচিত পদক্ষেপটির পার্থক্য আছে। এটি বোঝার জন্য আমাদের একটু পেছন দিকে ফিরে তাকানো দরকার। দেশে ব্যাংকের আধিক্যের পটভূমিতে কমজোরি বা দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একত্রীকরণের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হতে শুরু করে নিদেনপক্ষে প্রায় এক দশক আগে। ২০১৬ সালে বেসরকারি থিংকট্যাংক ‘ঢাকা ফোরাম’ দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার পরামর্শ দিয়েছিল।


এরপর তৎকালীন সরকারের মেয়াদের শেষভাগে এসে ২০১৮ সালে স্বয়ং অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিত নানান অনিয়ম ও খেলাপি ঋণের কারণে ব্যাংকগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে স্বীকার করেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক একত্রীকরণের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে একটা উপযুক্ত নীতিমালা প্রণয়নের জন্য ব্যাংক পরিচালকদের সহায়তাও চেয়েছিলেন তিনি। পরের বছর নতুনভাবে সরকার গঠিত হলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মেয়াদের শুরুতেই এ বিষয়ে ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন কিছু ব্যাংক ভালোভাবে চলতে পারছে না। এসব দুর্বল ব্যাংককে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একত্রীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করবে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নতুন আইনও করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us