উপচে পড়া যাত্রীবাহী ট্রেন যেন অবৈধ আয়ের মেশিন!

ঢাকা পোষ্ট নাজমুস সালেহী প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৪

মূল লেখায় প্রবেশের আগে ধারণা তৈরির জন্য পেছনের গল্পটা বলি শুরুতে। স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী কোচের সংখ্যা ছিল ১৬৪৩টি। সেই সময় সাড়ে ৭ কোটি জনগণের জন্য তা যথেষ্ট ছিল বলে মনে করেছেন রেল কর্মকর্তারা।


স্বাধীনতার এত বছরে দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি, বর্তমানের প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যা আমাদের। অথচ বিপুল এই জনসংখ্যার বিপরীতে রেলের যাত্রীবাহী কোচ বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে কোচের সংখ্যা ১৯৫২টি।


এই কোচ দিয়ে সারাদেশে ৩৩৬টি ট্রেন পরিচালনা করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এসব ট্রেনের আন্তনগর সার্ভিসগুলোয় রেলের মোট আসন সংখ্যা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩৮টি। আর স্ট্যান্ডিং মেইল, কমিউটার ও লোকাল সার্ভিস মিলিয়ে প্রতিদিন আরও প্রায় লাখখানেক যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে রেলের।


জানিয়ে রাখছি, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে প্রতিটি আন্তনগর ট্রেনের মোট আসনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বৈধভাবে প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার যাত্রী গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারার সক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের। তবে রেলের বাণিজ্যিক বিভাগের তথ্য বলছে, প্রতিদিন গড়ে ৫ লাখ যাত্রী ট্রেনে যাতায়াত করে। অর্থাৎ স্ট্যান্ডিংসহ রেলের সক্ষমতার দ্বিগুণ যাত্রীর চাহিদা রয়েছে ট্রেনগুলোয়।


ঈদ, পূজা বা অন্যান্য উৎসবে ছুটির সময় এই চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সেই সময় তা আর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। তখন প্রতিটি ট্রেন যাত্রীতে পূর্ণ থাকে। পা ফেলার জায়গা থাকে না ট্রেনগুলোয়। দরজা, জানালা যে যেদিক দিয়ে পারেন ট্রেনে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এই সময় ছাদে উঠতে দেখা যায় যাত্রীদের।


২০২৩ সালে অসংখ্য যাত্রীর চাপে ঢুকতে না পেরে উত্তেজিত জনতা বিমানবন্দর রেলস্টেশন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটান। এতে চুরমার হয়ে যায় স্টেশনের প্রবেশ গেটসহ মূল্যবান সব স্থাপনা। পরে রেল কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে বিনা টিকিটের যাত্রীদের স্টেশনে প্রবেশ ও ট্রেনে উঠতে দেয়। অর্থাৎ বিশেষ সময়গুলোয় যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতাও নেই রেলের।


অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ২০২৩ সালে লালমনিরহাট এক্সপ্রেস ট্রেনের চাকার স্প্রিং ভেঙে যায়, ফলে ট্রেন সারিয়ে যাত্রা করতে সময় লাগে ৫ ঘণ্টা। ঈদ, পূজা বা যেকোনো উৎসবের সময় ট্রেনের টিকিট যেন সোনার হরিণ। স্বল্প টিকিটের শতভাগই আবার অনলাইন ফলে টিকিট নিয়েও চলে শুভঙ্করের ফাঁকি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us