সরকার কাজে লাগাতে চাইলে সাড়া দেব

সমকাল ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২৪, ১২:১২

বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষুদ্রঋণ, সামাজিক ব্যবসা ও তিন শূন্যের পৃথিবী ধারণার প্রবক্তা। এই অর্থনীতিবিদ প্রতিষ্ঠিত ‘গ্রামীণ ব্যাংক মডেল’ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বিদেশে অবস্থানকালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সক্রিয় মুহাম্মদ ইউনূস স্বাধীনতার পর পরিকল্পনা কমিশনে যোগ দেন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন; তত্ত্বাবধায়ক সরকারেরও উপদেষ্টা ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর, যুক্তরাষ্ট্রের ভেন্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্ধশতাধিক সম্মানসূচক ডক্টরেটও পেয়েছেন। নোবেল ছাড়াও পেয়েছেন রামোন ম্যাগসেসে, স্বাধীনতা পুরস্কারসহ অনেক স্বীকৃতি। থ্রি ফারমার্স অব জোবরা, ব্যাংকার টু দ্য পুওর, ক্রিয়েটিং এ ওয়ার্ল্ড উইদাউট পোভার্টি তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। মুহাম্মদ ইউনূসের জন্ম ১৯৪০ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে


আমরা আনন্দিত যে, আপনি সাক্ষাৎকারের জন্য সময় দিয়েছেন। দেশীয় সংবাদমাধ্যমে আপনার সাক্ষাৎকার দেখা যায় না। এ ব্যাপারে সাংবাদিক মহলে আক্ষেপও রয়েছে।


মুহাম্মদ ইউনূস: আমিও খুব খুশি যে আপনারা এসেছেন। আমি আসলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতেই চাই। কিন্তু সব ক্ষেত্রে সময়সূচি মেলে না। এ ছাড়া অনেক সময় দেখা যায়, আমি বলি একভাবে, প্রকাশ হয় আরেকভাবে। তাতে করে ভুল বোঝাবুঝি বাড়ে। সুনির্দিষ্ট বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনার ক্ষেত্রে আমার কখনোই অসম্মতি নেই। 



এই সাক্ষাৎকার এমন সময় নিচ্ছি, যখন আপনার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত একাধিক মামলার বিষয় দেশে-বিদেশে আলোচিত। বিরল কিছু স্থানে আপনার উপস্থিতিও লক্ষণীয়। যেমন গত ৩ মার্চ সকালে কাকরাইলে ও দুপুরে পুরান ঢাকায় জামিনের জন্য গিয়েছিলেন। এরই ফাঁকে জনসন রোডের একটি হোটেলে নাশতা করতে হয়েছে। কতদিন পর এভাবে জনপরিসরে গিয়ে আহার করলেন? 


মুহাম্মদ ইউনূস: নাশতা করা যেমন তেমন, এভাবে আদালতে যাওয়ার বিষয়টিই আমার কাছে মনে হলো যেন দুঃস্বপ্নের মধ্যে আছি। দুঃস্বপ্ন এ জন্য, দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে আদালতে বিচারপ্রার্থী হতে হচ্ছে। শুধু আমি নই, সব মিলিয়ে আটজন এমন ব্যক্তিকে আদালতে যেতে হয়েছে, যারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে সারাজীবন নিয়োজিত থেকেছেন দরিদ্র মানুষের উন্নয়নে। দরিদ্র মানুষের উন্নয়নের স্বপ্ন দেখা ও বাস্তবায়ন ছাড়া তাদের জীবনে আর কোনো লক্ষ্যই ছিল না। 


আমরা এভাবে বলতে পারি, স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে গিয়ে দুঃস্বপ্নের মুখোমুখি?


মুহাম্মদ ইউনূস: একটা উদাহরণ দিই। সারাদেশে গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত নারীর প্রায় সবারই অক্ষরজ্ঞান ছিল না। তাদের ও তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছিলাম আমরা। শুধু অক্ষরজ্ঞান ছিল না বা নাম লিখতে পারত না, এমন নয়। আমরা নাম জিজ্ঞেস করার আগপর্যন্ত অনেকে ছিল কারও মেয়ে, কারও স্ত্রী বা কারও মা। নিজের নাম লেখা শেখার পর তার যে আত্মবিশ্বাস, সেটা দেখার মতো। সেই যে শুরু হলো স্বপ্ন বাস্তবায়নের দীর্ঘ যাত্রা শেষে, জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আমাকে আদালতে দাঁড়াতে হচ্ছে। কীসের জন্য? জালিয়াতির অপরাধ, অর্থ আত্মসাতের অপরাধ, মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধে! আদালতে দাঁড়িয়ে পুরো বিষয়টি সিনেমার ফ্লাশব্যাকের মতো মনে হচ্ছিল। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us