সকালের নাস্তায় একটুখানি হালুয়া হলে সকালটা মিষ্টি হয়ে ওঠে। কিন্তু হালুয়া বানানোর হাজারটা ঝামেলায় অনেকেই এড়িয়ে যান। কিন্তু খুব সহজেই অল্প কিছু উপকরণে ঝটপট বানিয়ে নিতে পারেন কিন্তু ২ পদের হালুয়া। রইলো রেসিপি:
গাজরের হালুয়া
উপকরণ
দেড় কেজি গাজরের কুচি বা গ্রেট করা, ২ কাপ চিনি, ২ লিটার দুধ, ৩/৪ টা এলাচ, ২/৩ টা দারচিনি, ১০-১২টা কাজুবাদাম, ৩-৪ টেবিল চামচ ঘি।
প্রণালি
প্রথমে দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন। এরপর গ্রেট করা গাজর দুধের মধ্যে দিয়ে ভালো করে নাড়ুন । মিডিয়াম আঁচে চুলায় নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না গাজরের মিশ্রণটি নরম হয়ে আসছে। এবার একে একে চিনি, এলাচ, দারচিনি দিয়ে আসতে আসতে নাড়তে থাকুন। একসময় দুধ শুকিয়ে আসলে অল্প আঁচে ঘি ঢেলে দিয়ে একবার নেড়ে নিন । হালুয়া পাত্রের সাইড থেকে সরে সরে আসলে এবং সোনালি বাদামি রং হয়ে আসলে পাত্রটি নামিয়ে নিয়ে কাজু বাদাম কুচি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করে নিন।
নারকেলের হালুয়া
উপকরণ
দেড় কাপ নারকেল কোরা, ১ কাপ চিনি, ১/২ কাপ ঘন দুধ ও ১/২ চা চামচ এলাচ গুঁড়ো।
প্রণালি
প্রথমে নারকেল কোরা পাটায় বেটে বা ব্লেন্ডারে মিহি করে পেস্ট করে নিন। তবে খেয়াল রাখবেন বোশি পানি দিয়ে পেস্ট করা যাবে না। দানাগুলো মিহি হলেই হবে।
এরপর চুলায় একটি প্যান বসিয়ে মিডিয়াম আঁচে তাতে নারকেল বাটা বা পেস্ট , চিনি ও ঘন দুধ দিয়ে মেশাতে থাকুন। ৩ থেকে ৪ মিনিট পরেই দুধ শুকিয়ে এলে মিশ্রণটা ভারী হতে শুরু করবে। তখনই এলাচগুঁড়ো গুলো দিয়ে দিন এবং নেড়েচেরে মেশাতে থাকুন। ধেখবে কিছুক্ষনের মধ্যে নারকেলের মিশ্রণটি আঠালো হয়েআসচে এবং প্যানের গা ছেড়ে আসছে, তখন মিশ্রণটি নামিয়ে ফেলুন। মিশ্রণটি ঠান্ডা হাওয়ার আগেই একটি থালায় ঘি মেখে গরম গরম হালুয়া ঢেলে সমান করে নিন। এরপর ঠান্ডা হলে ছুরি দিয়ে বা ছাঁচে বসিয়ে ইচ্ছেমতো নকশা করে পরিবেশন করুন।