কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের জোড়শিং গ্রামের জেলে আবুল কালাম গাজী। ১৯৯২ সালে শাকবাড়ীয়া নদীর বেড়িবাঁধ-সংলগ্ন বিলে ১৫ কাঠা জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করেন। সেই থেকে নয়জনের সংসার নিয়ে সেখানে বসবাস করছেন। এখন তাঁর জমির ওপর দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে বেড়িবাঁধ। তবে রাস্তার কাজ শুরু হলেও জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। ফলে ক্ষতিপূরণের টাকাও পাননি।
আবুল কালাম গাজী বলেন, ‘কিছুদিন আগে খাজনাও দিয়েছি। এখন শুনছি বাড়ির ওপর দিয়ে বাঁধের রাস্তা হবে। কাজও শুরু হইছে। বিনা নোটিশে বাঁধের রাস্তার কথা বলে আমার বসতঘরটি ভেঙে ফেলতে বলছে। আমাগো তো আর অন্য কোনো জায়গাজমি নাই। সরকার যদি এই জমি নেয়, তাহলে আমাদের ক্ষতিপূরণ দিবে। তাও তো পাইনি। আর পাব কি না, সেটাও জানিনে। ঘর ভাঙলে পাশে যে কোথাও নতুন ঘর তৈরি করার মতো জমি, টাকা কিছুই নাই আমার।’